পুরনো সেই চিঠিই এখন কাঁটা মুকুলের

তৃণমূল সূত্রের খবর, মুকুলবাবু ২০১৫ সালে ‘ঘর ওয়াপসি’-র পরে তৃণমূল নেত্রীকে চিঠি দিয়ে জানিয়েছিলেন, ন্যাশনালিস্ট তৃণমূল কংগ্রেস (এনটিসি) নামক দলটির আর কোনও প্রয়োজন নেই।

Advertisement

অগ্নি রায়

নয়াদিল্লি শেষ আপডেট: ০৪ অক্টোবর ২০১৭ ০৩:৫৯
Share:

ফাইল চিত্র।

নতুন ইনিংস শুরুর মুখে কাঁটা হচ্ছে পুরনো চিঠি!

Advertisement

তৃণমূলের সঙ্গে সম্পর্ক ছিন্ন করার পরে কী করবেন, প্রকাশ্যে এখনও খোলসা করেননি মুকুল রায়। কিন্তু পরিস্থিতি যে দিকে এগোচ্ছে, তাতে বিজেপি তাঁকে সরাসরি দলে নিলেই তাঁর পক্ষে স্বস্তিদায়ক। কারণ, দু’বছর আগে মুকুলবাবুর অনুগামীদের গড়ে তোলা দলের মাধ্যমে বিজেপি-র সঙ্গে অলিখিত সেতুবন্ধনে সমস্যা দেখা দিচ্ছে। সৌজন্যে তাঁরই পুরনো চিঠি!

তৃণমূল সূত্রের খবর, মুকুলবাবু ২০১৫ সালে ‘ঘর ওয়াপসি’-র পরে তৃণমূল নেত্রীকে চিঠি দিয়ে জানিয়েছিলেন, ন্যাশনালিস্ট তৃণমূল কংগ্রেস (এনটিসি) নামক দলটির আর কোনও প্রয়োজন নেই। তাঁর আবেদন ছিল, তৃণমূলের সঙ্গে ওই দলটিকে যাতে মিশিয়ে দেওয়া হয়। সে সময়ে নানা তালেগোলে এ ব্যাপারে কেউ কোনও পদক্ষেপ করেনি। কিন্তু চিঠিটি রয়ে গিয়েছিল তৃণমূল নেতৃত্বের কাছে। এখন সেই চিঠিকেই অস্ত্র করতে চাইছে তৃণমূল! মুকুলবাবুর করা সেই আবেদনপত্রের সঙ্গে তৃণমূলের পক্ষ থ‌েকে একটি সম্মতিপত্র (এনটিসি-কে মিশিয়ে দেওয়া সংক্রান্ত) নির্বাচন কমিশনের কাছে সম্প্রতি জমা দেওয়া হয়েছে। কমিশনকে তারা বলেছে, এই দলটির আলাদা কোনও অস্তিত্ব থাকারই কথা নয়। কমিশন জানিয়েছে, এ বিষয়ে সংশ্লিষ্ট সব পক্ষের শুনানি হবে।

Advertisement

আরও পড়ুন: দিলীপের সফর নিয়ে কি নতুন চাপে গুরুঙ্গরা

কিন্তু প্রশ্ন হচ্ছে, মুকুলবাবুর ওই চিঠিটি কি আদৌ এখনও বৈধ? তৃণমূলই বা তখন এই বিষয়ে কোনও সম্মতিপত্র না দিয়ে এখন এটা নিয়ে কমিশনের কাছে আসছে কেন? শেষ পর্যন্ত মুকুলবাবুকে রুখতে তৃণমূলের এই কৌশল ধোপে টিঁকবে কি না, সেটাও নিশ্চিত নয়। মুকুলবাবু এখনও বলছেন, সেই সময়ে এনটিসি-র সঙ্গে সরাসরি যুক্ত হয়ে কোনও পদক্ষেপ তিনি করেননি। তাঁর বক্তব্য, ‘‘নেতাজি ইন্ডোরে তৃণমূলের সম্মেলনে প্রস্তাব হয়েছিল, মিশে যাবে এনটিসি। এ ব্যাপারে এনটিসি-র সভাপতি বক্তৃতা করেছিলেন। সেই সময়েই কমিশনে চিঠি দেওয়া হয়েছিল।’’

সেই সময়ের তাঁর কিছু সঙ্গীকে বাদ দিয়ে নতুন একটি মঞ্চ গড়ার জন্য মুকুলবাবু এখন ফের কমিশনের কাছে আবেদন জানিয়েছেন বলে দাবি করছে একটি সূত্র। এ বার তিনি সেই মঞ্চের প্রস্তাবিত নাম ভেবেছেন ‘জাতীয়তাবাদী তৃণমূল কংগ্রেস’। যার সভাপতি হিসাবে তিনি রেখেছেন তাঁর শ্যালক সৃজন রায়কে।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন