‘লুচি-আলুর দম খেতে’ বিধাননগরের মেয়র সব্যসাচী দত্তের বাড়িতে হঠাৎ মুকুল রায়!

সল্টলেকে সব্যসাচীর বাড়িতে বেশ কিছু ক্ষণ ছিলেন মুকুল। সেখানে উপস্থিত ছিলেন কলকাতার এক নামী ফ্যাশন ডিজাইনারও। মুকুল তৃণমূলে থাকার সময়েই সব্যসাচী তাঁর শিবিরের লোক বলে পরিচিত ছিলেন। এ বারের বৈঠক এবং তার পরে দু’জনের প্রায় একই সুরে বৈঠকের প্রেক্ষিত বর্ণনা জল্পনাকে জোরালো করেছে।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদাতা

কলকাতা শেষ আপডেট: ০৯ মার্চ ২০১৯ ০৩:৪৫
Share:

সব্যসাচী দত্তর বাড়িতে মুকুল রায়। নিজস্ব চিত্র।

লোকসভা ভোটের আগে দলবদল নিয়ে রাজ্য রাজনীতিতে জল্পনা বিস্তর। তার মধ্যেই বিধাননগরের মেয়র ও তৃণমূল বিধায়ক সব্যসাচী দত্তের বাড়ি গিয়ে বিজেপি নেতা মুকুল রায়ের বৈঠক নতুন মাত্রা যোগ করল। সল্টলেকে শুক্রবার ওই নৈশ বৈঠকের সঙ্গে দুই নেতাই রাজনীতির যোগ অস্বীকার করলেও বর্তমান রাজনৈতিক প্রেক্ষাপটে এই ঘটনা চর্চার কারণ হয়েছে। তৃণমূলও এই মোলাকাতকে সহজ চোখে দেখছে না।

Advertisement

সল্টলেকে সব্যসাচীর বাড়িতে বেশ কিছু ক্ষণ ছিলেন মুকুল। সেখানে উপস্থিত ছিলেন কলকাতার এক নামী ফ্যাশন ডিজাইনারও। মুকুল তৃণমূলে থাকার সময়েই সব্যসাচী তাঁর শিবিরের লোক বলে পরিচিত ছিলেন। এ বারের বৈঠক এবং তার পরে দু’জনের প্রায় একই সুরে বৈঠকের প্রেক্ষিত বর্ণনা জল্পনাকে জোরালো করেছে। যদিও তৃণমূলের একটি সূত্রে বলা হচ্ছে, জল্পনা বা ব্যাখ্যা হতেই পারে। তবে কে কার বাড়িতে গেল, তাতে তৃণমূলের কিছু এসে যাবে না।

মুকুলের কথায়, ‘‘সব্যসাচীর সঙ্গে দাদা-ভাইয়ের সম্পর্ক। লুচি-আলুর দম খেয়ে গেলাম। খিদে পেলে মাঝেমাঝেই আসি। ওর স্ত্রী খুব ভাল রান্না করে।’’ কী আলোচনা হল? মুকুলের জবাব, ‘‘ক্রিকেটের অস্ট্রেলিয়া সিরিজ থেকে ভারত-পাকিস্তান যুদ্ধ— আলোচনা তো কত কিছু নিয়েই হতে পারে!’’ সব্যসাচীরও দাবি, এই ‘দেখা হওয়া’র মধ্যে অন্য কোনও ‘গন্ধ’ নেই। তাঁর মন্তব্য, ‘‘অনেক দিনের সম্পর্ক। সল্টলেকে এসেছিল মুকুলদা। এক বার ঘুরে গেল। বসে বসে অনেক ক্ষণ পুরনো গল্প হল। এর বেশি কিচ্ছু নয়।’’

Advertisement

আরও পড়ুন: মোদীর আমলে দেশে ২৬০% সন্ত্রাস বেড়েছে: মমতা

তৃণমূল নেতৃত্ব অবশ্যই বিষয়টিকে ‘লুচি-আলুর দমে’র মতো সহজ মনে করছেন না। দলের এক শীর্ষ নেতার বক্তব্য, ‘‘এখনকার রাজনৈতিক পরিস্থিতিতে এমন বৈঠকের কী অর্থ এবং প্রতিক্রিয়া হতে পারে, সকলেই বোঝে। দল যাঁদের গুরুত্বপূর্ণ নানা দায়িত্ব দিয়েছে, তাঁদের কাছ থেকে দায়িত্বশীল আচরণও প্রত্যাশা করে। সকলেই সেই দিকটা খেয়াল রেখে চলবেন, আশা করা যায়।’’ রাত থেকেই ইঙ্গিত মিলছে, মুকুল-সব্যসাচীর এমন বৈঠকের জল গড়াবে।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন