খিলাড়ি হেসে বললেন, ‘কামাল কর দিয়া!’

প্রথম দশে, দেশের মোট ১২টি জেলা জায়গা করে নিয়েছে। তালিকায় মুর্শিদাবাদের সঙ্গে দশম স্থানে রয়েছে রাজ্যের অন্য জেলা বাঁকুড়া।

Advertisement

সামসুদ্দিন বিশ্বাস

বহরমপুর শেষ আপডেট: ১৬ জানুয়ারি ২০১৯ ২৩:৩৬
Share:

অক্ষয় কুমারের হাত থেকে শংসাপত্র নিচ্ছেন মুর্শিদাবাদের জেলাশাসক পি উলাগানাথন। বুধবার মুম্বইয়ে। নিজস্ব চিত্র

বিশ্ব শৌচাগার দিবসে দেশের সেরা স্বচ্ছ গ্রাম প্রতিযোগিতায় প্রথম দশে জায়গা করে নিয়েছিল রাজ্যের দু’টি জেলা, মুর্শিদাবাদ এবং বাঁকুড়া।

Advertisement

বুধবার স্বচ্ছ ভারত মিশনের ব্র্যান্ড অ্যাম্বাসেডর অক্ষয় কুমারের হাত থেকে তারই পুরস্কার নিলেন দুই জেলার দুই জেলাশাসক। মুর্শিদাবাদের জেলাশাসক পি উলাগানাথন, এ দিন সকালে মুম্বইয়ে পুরস্কার নিয়ে বলেন, ‘‘আরও অনেক দূর যেতে হবে আমাদের। তবে অক্ষয় কুমারের মুখে ‘কামাল কর দিয়া’ শুনে ভাল লাগছে!’’

মুর্শিদাবাদ জেলা প্রশাসন সূত্রে জানা গিয়েছে, ৯ থেকে ১৯ নভেম্বর, দেশজুড়ে বিশ্ব শৌচাগার দিবস প্রতিযোগিতার আয়োজন করেছিল ‘ড্রিঙ্কিং ওয়াটার অ্যান্ড স্যানিটেশন’ মন্ত্রক। দেশের ২৫টি রাজ্যের ৪১২টি জেলা অংশ নিয়েছিল সেই প্রতিযোগিতায়। ২ জানুয়ারি সংশ্লিষ্ট মন্ত্রকের চিঠি আসে। জানানো হয়, প্রথম দশে, দেশের মোট ১২টি জেলা জায়গা করে নিয়েছে। তালিকায় মুর্শিদাবাদের সঙ্গে দশম স্থানে রয়েছে রাজ্যের অন্য জেলা বাঁকুড়া। ভাল কাজ করার সুবাদে প্রশংসিত হয়েছে উত্তরবঙ্গের কোচবিহারও।

Advertisement

জেলা প্রশাসনের এক আধিকারিক জানান, ওই প্রতিযোগিতায় জয়ী প্রথম দশ জেলার জেলাশাসকেরা স্বচ্ছ ভারত মিশনের অ্যাম্বাসেডর অক্ষয় কুমারের পরবর্তী সিনেমার শ্যুটিংয়ে যোগ দিতে পারবেন। জেলাশাসক পি উলাগানাথন এ দিন মুম্বই থেকে বলেন, ‘‘মুর্শিদাবাদ-মডেলের আলাদা করে প্রশংসা করা হয়েছে।’’

জেলা প্রশাসনের খবর, ১৯ নভেম্বর ছিল বিশ্ব শৌচাগার দিবস। সেই উপলক্ষে ৯-১৯ নভেম্বর দেশজুড়ে শৌচ-প্রচার অভিযান করার নির্দেশ ছিল। মানুষের মধ্যে শৌচাগার তৈরি ও ব্যবহারের বিষয়ে সচেতনতা বৃদ্ধি, গ্রাম-স্তরে পথসভা ও প্রচার অভিযান, শৌচাগার আন্দোলনে মানুষের যোগদান, কী ভাবে শৌচাগার ব্যবহারের অভ্যাস ধরে রাখা যায় সে ব্যাপারে আলোচনা— এমনই একাধিক বিষয়ের নির্দেশ দেওয়া হয়েছিল। মন্ত্রকের পক্ষ থেকে এ বিষয়ে একটি পোর্টাল তৈরি করা হয়েছিল। সেই পোর্টালে শৌচাগার নিয়ে এই সব তথ্য ও ছবি আপলোড করতে বলা হয়েছিল প্রতিযোগীদের।

দেশের সেরা দশের জায়গা করে নিলেও এখনও জেলার অনেক এলাকায় মানুষ যে মাঠ-মুখি তা অবশ্য মেনে নিয়েছেন জেলা কর্তারা। অনেক গ্রামেই শৌচাগার নেই, কোথাও শৌচাগার থাকলেও অনেকেই তা ব্যবহার করেন না। সেই ফাঁকটুকু বুজিয়ে ফেলারই চেষ্টা চলছে এখন।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন