তৃণমূলে যোগ দেওয়ার পরে শাওনি সিংহরায়। রয়েছেন তৃণমূল নেতা শুভেন্দু অধিকারী। রবিবার। ছবি: গৌতম প্রামাণিক
আগামী শুক্রবার রাজ্যসভার ভোট। যেখানে কংগ্রেসের প্রার্থীকে সমর্থন করবে তৃণমূল। তার আগে রবিবার ফের কংগ্রেস ভেঙে বিধায়ক ঘরে তুলল তৃণমূল! কান্দির অপূর্ব সরকারের পরে এ বার মুর্শিদাবাদের কংগ্রেস বিধায়ক শাঁওনি সিংহ রায়ের হাতে দলের পতাকা ধরাল তৃণমূল। দু’জনেই প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি অধীর চৌধুরীর জেলার বিধায়ক।
জিয়াগঞ্জের বাগডহর মোড় লাগোয়া ময়দানে লালবাগ মহকুমা তৃণমূলের পঞ্চায়েতিরাজ ও বুথভিত্তিক কর্মী সম্মেলন মঞ্চে জেলা তৃণমূলের পর্যবেক্ষক তথা পরিবহণমন্ত্রী শুভেন্দু অধিকারীর হাত ধরে শাঁওনি তৃণমূলে যোগ দিয়েছেন। শাঁওনির বক্তব্য, ‘‘কংগ্রেসে আমার মর্যাদা বলে কিছু ছিল না। একই কারণে এর আগে রেজিনগর এবং কান্দির বিধায়ক কংগ্রেস ছেড়ে তৃণমূলে যোগ দিয়েছেন। গত কয়েক বছরে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের নেওয়া উন্নয়ন কর্মসূচিতে মুর্শিদাবাদের মাটি তৃণমূলের মাটিতে পরিণত হয়েছে। তাই তৃণমূল থেকে দূরে সরে থাকতে পারলাম না!’’
কংগ্রেসের প্লেনারি অধিবেশন উপলক্ষে প্রদেশ সভাপতি অধীর, বিরোধী দলনেতা আব্দুল মান্নানেরা এখন দিল্লিতে। সেখানেই দলের হাইকম্যান্ডের নেতাদের তাঁরা বলেছেন, সংসদে কিছু আসন পাওয়ার জন্য তৃণমূলের প্রতি এআইসিসি নরম হচ্ছে। আর তৃণমূল সমানে কংগ্রেসকে ভাঙিয়ে বিজেপি-বিরোধী লড়াইকে দুর্বল করছে। এ ভাবে চললে ত্রিপুরা কংগ্রেসের দশা বাংলার দলেরও হবে বলে প্রদেশ নেতৃত্বের আশঙ্কা!
মুর্শিদাবাদ পুরসভা পরিচালনায় শাঁওনির ‘হস্তক্ষেপ’ মেনে নিতে না পেরে দল ছেড়েছিলেন পুরপ্রধান বিপ্লব চক্রবর্তী-সহ অধিকাংশ কাউন্সিলর। তাই এ দিন শুভেন্দু বলেন, ‘‘শাঁওনি দলে যোগ দেওয়ার আগে তাঁকে জিজ্ঞেস করেছিলাম, জিয়াগঞ্জে দেবাশিস সরকার, মুর্শিদাবাদে বিপ্লব চক্রবর্তী, ডোমকলে সৌমিক হোসেনকে নিয়ে কাজ করতে তাঁর কোনও আপত্তি আছে কি না। তিনি জানান, তাঁর আপত্তি নেই। ঐক্যবদ্ধ ভাবে সকলকে নিয়ে কাজ করার কথা তাঁকে বলা হয়েছে।’’