DA

১ মার্চ থেকেই মিলবে দুই কিস্তির মহার্ঘ ভাতা, সব মিলিয়ে ৬ শতাংশ, শুক্রে বিজ্ঞপ্তি জারি নবান্নের

২০২১ সালের জানুয়ারি মাসে ৩ শতাংশ মহার্ঘ ভাতার ঘোষণা করে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সরকার। আরও ৩ শতাংশ যুক্ত হয়েছে এ বছরের বাজেটে। তাই মার্চ মাস থেকে ৬ শতাংশ হারে ডিএ পাবেন কর্মীরা।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

শেষ আপডেট: ২৪ ফেব্রুয়ারি ২০২৩ ২২:০৫
Share:

ডিএ সংক্রান্ত বিজ্ঞপ্তি জারি করল নবান্ন। — ফাইল চিত্র।

বাজেট অধিবেশনের দিন মুখ্যমন্ত্রীর পাঠানো চিরকুট পড়ে ৩ শতাংশ মহার্ঘ ভাতা (ডিএ)-র ঘোষণা করেছিলেন রাজ্যের অর্থ প্রতিমন্ত্রী চন্দ্রিমা ভট্টাচার্য। গত ১৫ ফেব্রুয়ারির সেই ঘোষণার পর শুক্রবার সন্ধ্যায় এ সংক্রান্ত বিজ্ঞপ্তি জারি করল নবান্ন। ওই বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, সরকারি কর্মচারী, সরকার অনুমোদিত শিক্ষা প্রতিষ্ঠান, সরকার অনুমোদিত স্বশাসিত সংস্থা, সরকার অধিগৃহীত সংস্থা, পঞ্চায়েত কর্মী, পুরসভা, পুর নিগম এবং অবসরপ্রাপ্ত সরকারি কর্মীদের জন্য ডিএ ঘোষণা করছে রাজ্য সরকার। ১ মার্চ থেকে ৬ শতাংশ হারে ডিএ পাবেন কর্মীরা। ২০২১ সালের জানুয়ারি মাসে ৩ শতাংশ হারে ডিএ বাড়িয়েছিল মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সরকার। এ বারের বাজেটে আরও ৩ শতাংশ যুক্ত হয়েছে। তাই মার্চ মাস থেকে ৬ শতাংশ হারে ডিএ পাবেন রাজ্য সরাকরি কর্মীরা।

Advertisement

শুক্রবারের এই বিজ্ঞপ্তি জারির পরেও ক্ষোভ কমেনি রাজ্য সরকারের কর্মচারীদের। এর আগে ডিএ-র দাবিতে ২১ ও ২২ ফেব্রুয়ারি রাজ্য জুড়ে দু’দিনের কর্মবিরতি পালন করেছেন সরকারি কর্মীরা। ডিএ-র দাবিতে আগামী ১০ মার্চ প্রশাসনিক ধর্মঘটের ডাকও দিয়েছেন তাঁরা। নবান্নের বিজ্ঞপ্তি জারির পরেও নিজেদের অবস্থানে অনড় রয়েছে বেশির ভাগ কর্মচারী সংগঠন। কো-অর্ডিনেশন কমিটি কমিটির তরফে বিশ্বজিৎ গুপ্ত চৌধুরী বলেন, ‘‘আমরা আমাদের হকের জন্য লড়াই করছি। তাই ৩ শতাংশ ডিএ ঘোষণার পরেও যেমন আমরা প্রতিবাদে শামিল হয়েছিলাম, এই বিজ্ঞপ্তি জারির পরেও তা তেমনই থাকবে। সরকারি কর্মচারীরা ভিক্ষা চান না, চান তাঁদের অধিকার। ১০ মার্চ প্রশাসনিক ধর্মঘট হবে। ৩৫ শতাংশ ডিএ আমাদের দিতেই হবে।’’

বঙ্গীয় শিক্ষক ও শিক্ষা কর্মী সমিতির নেতা স্বপন মণ্ডল জানিয়েছেন, তাঁরা রাজ্য সরকারের এই ডিএ প্রত্যাখ্যান করতে চান। তাঁর কথায়, ‘‘সরকারের বেতন সংক্রান্ত যে পোর্টালটি রয়েছে সেখানে সরকারি কর্মচারীদের ৩ শতাংশ ডিএ প্রত্যাখ্যান করার সুযোগ দেওয়া হোক।

Advertisement

তবে তৃণমূল সরকারি কর্মচারী ফেডারেশনের নেতা মনোজ চক্রবর্তী এ ক্ষেত্রে ধীরে চলো নীতি নিয়েছেন। তাঁর কথায়, ‘‘আগামী ১৫ মার্চ সুপ্রিম কোর্টে আমাদের ডিএ সংক্রান্ত মামলার শুনানি রয়েছে। সেই শুনানির আগে ডিএ নিয়ে কোনও পক্ষেরই বিরূপ মন্তব্য করা উচিত নয়।’’ তিনি আরও বলেন, ‘‘বামফ্রন্ট জমানাতেও আমরা বার বার ডিএ-র দাবিতে সরব হতাম। তখন আমরা সরকারের কাছে স্ট্যান্ডিং অর্ডারের দাবি করতাম। সেই সময় যদি আমাদের দাবি মানা হত আজ আমরা কেন্দ্রীয় হারে ডিএ পেতাম। তাই কো-অর্ডিনেশন কমিটির বন্ধুদের বলব, কোনও মন্তব্য করার আগে তাঁরা সেই জমানাটাও যেন মনে রাখেন।’’

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement
Advertisement