Murshidabad

হাসপাতালের সামনে দেহ রেখে চম্পট! হরিহরপাড়ার ঘটনায় গ্রেফতার দুই, খুনের অনুমান করছে পুলিশ

শুক্রবার ময়নাতদন্তের পর হরিহরপাড়া থানার সামনে রাস্তায় দেহ রেখে বিক্ষোভ দেখান মৃতের পরিবারের লোকজন এবং স্থানীয়রা। তাঁদের দাবি, খুনিদের গ্রেফতার না করা পর্যন্ত বিক্ষোভ চলবে।

Advertisement

আনন্দবাজার অনলাইন সংবাদদাতা

শেষ আপডেট: ২৫ নভেম্বর ২০২৩ ১৩:০১
Share:

—প্রতীকী চিত্র।

হরিহরপাড়াকাণ্ডে যুক্ত থাকার অভিযোগে দু’জনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। পুলিশ সূত্রে খবর, যে গাড়ি করে মিনারুল ইসলামের দেহ হাসপাতালের সামনে আনা হয়েছিল, সেই গাড়ির চালক ছিলেন গফ্‌ফর খান। এ ছাড়া সরফরাজ খান নামে আরও এক অভিযুক্তকে ধরেছে পুলিশ। ধৃত দু’জনেরই বাড়ি মুর্শিদাবাদের চোয়াপাঠান এলাকায়।

Advertisement

বৃহস্পতিবার মুর্শিদাবাদের হরিহরপাড়া প্রাথমিক স্বাস্থ্যকেন্দ্রের সামনে জনৈক মিনারুল ইসলামের দেহ রেখে চম্পট দেয় অজ্ঞাতপরিচয় ব্যক্তিরা । এ নিয়ে জোর চাঞ্চল্য ছড়ায় এলাকায়। বৃহস্পতিবার হরিহরপাড়া থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছেন মৃতের স্ত্রী সাহানাজ বানু বিবি। শুক্রবার ময়নাতদন্তের পর হরিহরপাড়া থানার সামনে রাস্তায় দেহ রেখে বিক্ষোভ দেখান মৃতের পরিবারের লোকজন এবং স্থানীয়েরা। তাঁদের দাবি, খুনিদের গ্রেফতার না করা পর্যন্ত বিক্ষোভ চলবে। পুলিশের তরফে অভিযুক্তদের গ্রেফতারির প্রতিশ্রুতি দিলে বিক্ষোভ ওঠে। তার পরই সামনে এল দু’জনের গ্রেফতারির খবর।

পুলিশ সূত্রে খবর, যে গাড়িতে দেহ নামানো হয়েছিল, সিসিটিভি ক্যামেরায় সেই গাড়ির ছবি ধরা পড়ে। ওই গাড়ি চিহ্নিত করে চালককে গ্রেফতার করা হয়েছে। পাকড়াও হয়েছেন তাঁর এক সঙ্গীও। শনিবার ধৃতদের ১০ দিনের পুলিশ হেফাজতের আবেদন জানিয়ে জেলা আদালতে পাঠানো হয়। তবে এফআইআর-এ ওই দু’জনের নাম ছিল না। এখন মৃতের পরিবার সূত্রে জানা গিয়েছে, সম্প্রতি মিনারুলের সঙ্গে ওই পাড়ারই একটি পরিবারের বিরোধ ছিল। তাঁরাই মিনারুলকে ডেকে নিয়ে যায় বুধবার রাতে। পরের দিন মিনারুলের দেহ উদ্ধার হয় হাসপাতাল চত্বর থেকে। তাই প্রতিবেশীরাই খুন করেছে বলে দাবি করছেন তাঁরা। পরিবারের এক সদস্য বলেন, “ওকে আগেও হুমকি দেওয়া হচ্ছিল। তার পর থেকেই দীর্ঘ দিন ধরে ঘর ছাড়া মিনারুলের পরিবার। মিনারুল পেশায় ছিলেন গাড়ির চালক। ফলে বাইরে বাইরে বেশি দিন কাটাতেন।’’ পুলিশেরও প্রাথমিক অনুমান, খুন করা হয়েছে মিনারুলকে।

Advertisement

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement
Advertisement