Life sentence

বাংলায় চিকিৎসা করাতে এসে ধর্ষণের শিকার, পরে মৃত্যু, পাঁচ বছর পর বিচার পেল বিহারের পরিবার

আদালত সূত্রে খবর, ২০১৮ সালের ৩০মে বিহার থেকে মা ও ভাইয়ের সঙ্গে চিকিৎসা করাতে মুর্শিদাবাদ মেডিক্যাল কলেজে আসেন ২০ বছরের তরুণী। কিন্তু স্টেশন থেকে তরুণীকে তুলে নিয়ে যায় তিন যুবক।

Advertisement

আনন্দবাজার অনলাইন সংবাদদাতা

বহরমপুর শেষ আপডেট: ১৭ অক্টোবর ২০২৩ ২১:৪১
Share:

—প্রতীকী চিত্র।

মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসা করতে আসা ভিন্‌রাজ্যের এক তরুণীকে গণধর্ষণ করে খুনের ঘটনায় অভিযুক্ত তিন জনকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ডের নির্দেশ দিলেন প্রথম মুর্শিদাবাদের আদালত। খুন, ধর্ষণ, সাক্ষ্য লোপাটের চেষ্টা এবং পরিকল্পিত অপরাধ সংগঠনের মত অভিযোগ প্রমাণিত হওয়ায় ওই শাস্তি বলে জানিয়েছেন আইনজীবীরা।

Advertisement

আদালত সূত্রে খবর, ২০১৮ সালের ৩০মে বিহার থেকে মা ও ভাইয়ের সঙ্গে চিকিৎসা করাতে মুর্শিদাবাদ মেডিক্যাল কলেজে আসেন ২০ বছরের তরুণী। গভীর রাতে স্টেশনে পৌঁছনোয় রাতে সেখানেই থেকে যাওয়ার সিদ্ধান্ত নেন তিনি। ভোর হতেই স্টেশন থেকে বেরোচ্ছিলেন তাঁরা। অভিযোগ ওই সময় ওই তরুণীকে তিন যুবক আচমকা তুলে নিয়ে চলে যান নির্জন একটি স্থানে। ধর্ষণ করা হয় তরুণীকে। পরে গুরুতর অসুস্থ অবস্থায় ওই তরুণীকে উদ্ধার করে তাঁর পরিবারের লোকজন। ভর্তি করানো হয় মুর্শিদাবাদ মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে। ২৫ দিন চিকিৎসার পর তরুণীর মৃত্যু হয়।

ওই ঘটনায় অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করে তরুণীর পরিবার। তদন্তে নেমে বহরমপুরের খাগড়াঘাটের বাসিন্দা সাদেক শেখ, রাহুল শেখ এবং জুলফিকর আলি শেখ নামে তিন জনকে গ্রেফতার করে পুলিশ। অবশেষে ওই মামলার সাক্ষ্য প্রমাণ সমেত আদালতের চার্জশিট পেশ করে পুলিশ। ১৬ জন সাক্ষীর মধ্যে ছ’জন চিকিৎসক ছিলেন। সকলের জবাব এবং সাক্ষ্য গ্রহণের পর মঙ্গলবার মুর্শিদাবাদ প্রথম অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা বিচারক মঞ্জুশ্রী মণ্ডল তিন আসামিকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দেন।

Advertisement

আদালতের এই নির্দেশে খুশি নির্যাতিতার পরিবার। এক সদস্যের কথায়, ‘‘ভিন্‌রাজ্য থেকে এসে সুবিচার পাব কি না, সেই ভয়ে ছিলাম। তবে এখানকার প্রশাসন এবং আইনজীবীরা যে ভাবে মামলা লড়ে অভিযুক্তদের সাজার ব্যবস্থা করলেন, তাতে তাদের প্রতি আমরা কৃতজ্ঞ। এত দিন পর আমরা স্বস্তির নিশ্বাস ফেলব।’’

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন