মুর্শিদাবাদের ৩৯টি সেতুর স্বাস্থ্য দুর্বল—এমনটাই উঠে এসেছে পূর্তদফতরের রিপোর্টে। মাঝেরহাটের সেতু ভেঙে পড়ার পরে মুর্শিদাবাদের সমস্ত সেতুর হাল-হকিকত জেনে রিপোর্ট জমা দেওয়ার নির্দেশ দিয়েছিলেন জেলাশাসক পি উলাগানাথন।
সেতু পরিদর্শনের পরে পূর্ত দফতরের আধিকারিকেরা প্রশাসনের কাছে যে রিপোর্ট জমা দিয়েছেন, তাতে দেখা যাচ্ছে জেলার ৩৯টি সেতুর স্বাস্থ্য ভাল নয়। ওই রিপোর্ট পেয়ে সেতুগুলি সংস্কারের জন্য প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ করার কথা জানিয়ে সেপ্টেম্বরের শেষ সপ্তাহে পূর্তদফতরের প্রধান সচিবকে চিঠি পাঠিয়েছেন জেলাশাসক।
এত দিন সেতুর স্বাস্থ্যের খোঁজ নেয়নি প্রশাসন। মাঝেরহাটের সেতু ভেঙে পড়ার পরে টনক নড়ে প্রশাসনিক কর্তাদের। মুর্শিদাবাদের জেলাশাসক পি উলাগানাথন বলেন, ‘‘জেলার বেশ কিছু সেতু চিহ্নিত করা হয়েছে, যার অবস্থা ভালো নয়। এ বিষয়ে পদক্ষেপ করার জন্য দফতরে চিঠি পাঠিয়ে গোটা বিষয়টি জানিয়েছি।’’ সেপ্টেম্বরের প্রথম সপ্তাহে কলকাতায় মাঝেরহাটের সেতু ভেঙে পড়ে। এর পরেই রাজ্য জুড়ে সেতুর নিরাপত্তা নিয়ে প্রশ্ন উঠতে শুরু করে। রাজ্যের অন্য জেলার পাশাপাশি মুর্শিদাবাদ জেলায় একাধিক সেতু রয়েছে, যা সংস্কারের অভাবে ধুঁকছে। যে কোনও দিন ভেঙে পড়তে পারে বলেও আশঙ্কা তৈরি হয় জেলার মানুষের। সেতু সারাইয়ে প্রশাসনিক গাফিলতিরও
অভিযোগ ওঠে।
তার পরেই জেলার সমস্ত সেতুর স্বাস্থ্য পরীক্ষার নির্দেশ দিয়েছিলেন জেলাশাসক। সেতুগুলি পরিদর্শন শেষে পূর্তদফতরের আধিকারিকরা জেলাশাসকের কাছে যে রিপোর্ট জমা দিয়েছেন, তাতে দেখা যাচ্ছে মুর্শিদাবাদ জেলার ৩৯ টি সেতু সংস্কারের প্রয়োজন।
প্রশাসন সূত্রে জানা গিয়েছে, জেলায় পূর্ত দফতরের অধীনে প্রায় ৬০০টি সেতু আছে। তার মধ্যে ৩৯ টি সেতুর দ্রুত সংস্কারের প্রয়োজন রয়েছে। সেগুলি হলো—কান্দির রণগ্রাম, রঘুনাথগঞ্জ-মিঞাপুর রাস্তায় সন্ন্যাসীডাঙা সেতু, হরিহরপাড়া-আমতলা ও হরিহরপাড়া-বহরমপুর রাজ্য সড়কের উপরে রয়েছে এমন কয়েকটি সেতু-সহ ৩৯টি সেতু।