গোষ্ঠী সংঘর্ষে নিহত যুবক

দুই গোষ্ঠীর সংঘর্ষের জেরে গুলিতে প্রাণ গেল মানসিক ভারসাম্যহীন এক যুবকের। মৃতের নাম মাইনুর শেখ (৪০)। রবিবার বিকেলে শমসেরগঞ্জ থানার জোতকাশি গ্রামে ওই গুলিবিদ্ধের ঘটনায় দু’জন তৃণমূল কর্মীকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। জঙ্গিপুরের এসডিপিও প্রসেনজিৎ বন্দ্যোপাধ্যায় জানান, ওই ঘটনার তদন্ত চলছে।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

শমসেরগঞ্জ শেষ আপডেট: ২৪ ডিসেম্বর ২০১৮ ০২:১৭
Share:

প্রতীকী ছবি

দুই গোষ্ঠীর সংঘর্ষের জেরে গুলিতে প্রাণ গেল মানসিক ভারসাম্যহীন এক যুবকের। মৃতের নাম মাইনুর শেখ (৪০)। রবিবার বিকেলে শমসেরগঞ্জ থানার জোতকাশি গ্রামে ওই গুলিবিদ্ধের ঘটনায় দু’জন তৃণমূল কর্মীকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। জঙ্গিপুরের এসডিপিও প্রসেনজিৎ বন্দ্যোপাধ্যায় জানান, ওই ঘটনার তদন্ত চলছে।

Advertisement

তৃণমূল সূত্রে জানা গিয়েছে, গিয়েছে, ধৃত সেলিম ও লিটন শেখ দু’জনই শমসেরগঞ্জের তৃণমূল বিধায়ক আমিরুল ইসলামের অনুগামী বলে এলাকায় পরিচিত। আমিরুল বলছেন, “দুষ্কৃতীদের হামলায় গুলিবিদ্ধ হয়ে মৃত্যু হয়েছে এক যুবকের। কিন্তু এই ঘটনায় প্রকৃত দুষ্কৃতীদের না ধরে মিথ্যে মামলায় জড়িয়ে গ্রেফতার করা হয়েছে আমার বিশ্বস্ত দুই তৃণমূল কর্মীকে।’’ ধৃত লিটন আবার পঞ্চায়েত সমিতির খাদ্য কর্মাধ্যক্ষের ছেলে।

তৃণমূলের জেলা পরিষদ সদস্য আনারুল হক ওরফে বিপ্লব অবশ্য এটাকে নেহাতই গ্রাম্য বিবাদ বলে দাবি করেছেন। তিনি বলেন, “ওই ঘটনার সঙ্গে রাজনীতির কোনও সম্পর্ক নেই। মানসিক ভারসাম্যহীন এক যুবক গুলিবিদ্ধ হয়ে মারা গিয়েছেন। কারা এবং কেন তাকে গুলি করেছে সবটাই পুলিশ তদন্ত করে দেখছে।’’

Advertisement

তবে শমসেরগঞ্জের তৃণমূলের বিধায়ক আমিরুল ইসলাম ও জেলা পরিষদের জনস্বাস্থ্য কর্মাধ্যক্ষ তৃণমূলের আনারুল হক ওরফে বিপ্লবের মধ্যে পঞ্চায়েত নির্বাচনের শুরু থেকেই চরম গোষ্ঠীকোন্দল চলছে। নির্বাচনের পরে ওই বিবাদ চরম আকার নিয়েছে। দলীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, বোগদাদনগর পঞ্চায়েতে ক্ষমতায় রয়েছেন আমিরুল ইসলামের অনুগতরা। ফলে বিপ্লব অনুগত পঞ্চায়েত সদস্যদের গুরুত্ব দেওয়া হচ্ছে না বলে অভিযোগ। এ নিয়ে দুটি গোষ্ঠীর মধ্যে বিবাদ

এখন চরমে।

অভিযোগ, শনিবার সন্ধ্যেয় বিপ্লব অনুগত এক গ্রাম পঞ্চায়েত সদস্যের নেতৃত্বে আমিরুলের অনুগত তৃণমূলের স্থানীয় এক বুথ সভাপতির উপর হামলা হয় জোতকাশি গ্রামের গামারতলায়। বদলা নিতে রবিবার বিকেলে ওই পঞ্চায়েত সদস্য কয়েকজন সঙ্গীকে নিয়ে পাড়ার একটি চায়ের দোকানে বসেছিলেন। সেই সময়ে দুটি মোটরবাইকে পাঁচ জন যুবক এসে গুলি চালাতে থাকে। তখন চায়ের দোকানের পাশের রাস্তা দিয়ে যাচ্ছিলেন মাইনুর। গুলি লক্ষ্যভ্রষ্ট হয়ে গিয়ে লাগে মাইনুরের বুকে। ঘটনাস্থলেই তাঁর মৃত্যু হয়। গ্রাম থেকে গ্রেফতার করা হয় সেলিম শেখ ও লিটন শেখকে। এই ঘটনায় এলাকায় চরম উত্তেজনা রয়েছে। ভয়ে মুখ খুলতে চাইছেন না কোনো গ্রামবাসীরা।

জঙ্গিপুরের এসডিপিও প্রসেনজিৎ বন্দ্যোপাধ্যায় জানান, শমসেরগঞ্জের গ্রামে গুলিবিদ্ধ হয়ে একজনের মৃত্যু হয়েছে। ওসি নিজে ঘটনাস্থলে রয়েছেন। ঘটনার তদন্ত চলছে।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন