coronavirus

পাঁচ চিকিৎসক আক্রান্ত কোভিডে

সূত্রের খবর, সপ্তাহ দু’য়েক আগেও জেলায় প্রতিদিন ১০০জনের উপরে করোনা আক্রান্ত হচ্ছিলেন। তার পর থেকে করোনা সংক্রমণের সংখ্যা কমতে থাকে। একশো থেকে নেমে এখন দৈনিক ৭০-৫০জনের মধ্যে করোনা আক্রান্ত হচ্ছেন বলে জেলা স্বাস্থ্য দফতর সূত্রে জানা গিয়েছে।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

বহরমপুর শেষ আপডেট: ০৮ সেপ্টেম্বর ২০২০ ০১:১৫
Share:

প্রতীকী চিত্র।

একদিকে করোনা সংক্রমণ কমছে, অন্যদিকে সুস্থ হওয়ার সংখ্যাও ক্রমশ বাড়ছে। গত দু’সপ্তাহ ধরে মুর্শিদাবাদে এমনই চিত্র দেখা দিচ্ছে। জেলা স্বাস্থ্য দফতরের হিসেব বলছে, থেকে এপর্যন্ত জেলায় করোনা আক্রান্ত হয়েছেন ১০২৪ জন, সেখানে করোনা থেকে সুস্থ হয়েছেন ১৩৭৮জন। যার জেরে স্বস্তিতে মুর্শিদাবাদ জেলা প্রশাসন থেকে জেলা স্বাস্থ্যদফতর। সূত্রের খবর, সপ্তাহ দু’য়েক আগেও জেলায় প্রতিদিন ১০০জনের উপরে করোনা আক্রান্ত হচ্ছিলেন। তার পর থেকে করোনা সংক্রমণের সংখ্যা কমতে থাকে। একশো থেকে নেমে এখন দৈনিক ৭০-৫০জনের মধ্যে করোনা আক্রান্ত হচ্ছেন বলে জেলা স্বাস্থ্য দফতর সূত্রে জানা গিয়েছে।
জেলা স্বাস্থ্য দফতরের এক কর্তা জানান, রবিবার রাতেও জেলায় ৬৬ জন করোনা আক্রান্ত হয়েছেন। সেখানে সোমবার করোনা থেকে সুস্থ হয়েছেন ৯৭ জন। এ দিনের করোনা আক্রান্তদের তালিকায় মুর্শিদাবাদ মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের পাঁচ জন জুনিয়র ডাক্তার রয়েছেন। এ ছাড়া সোমবার সকালে বেলডাঙার করোনা আক্রান্ত এক বৃ্দ্ধার বহরমপুরে মাতৃসদন করোনা হাসপাতালে মৃত্যু হয়েছে। মুর্শিদাবাদ মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের সুপার শর্মিলা মল্লিক বলেন, ‘‘বেলডাঙার করোনা এক বৃদ্ধার মৃত্যু হয়েছে এদিন মৃত্যু হয়েছে। অন্যদিকে পাঁচ জন জুনিয়র ডাক্তারের করোনা পজ়িটিভ হয়েছে। তাঁরা কীভাবে আক্রান্ত হলেন এবং তাঁদের সংস্পর্শে যাঁরা এসেছিলেন তা খতিয়ে হচ্ছে।’’
জেলা স্বাস্থ্য দফতর সূত্রের খবর, এ পর্যন্ত জেলায় করোনা আক্রান্ত হয়েছেন ৩৬৩০ জন, করোনা থেকে সুস্থ হয়েছেন ৩০১৫জন। এপর্যন্ত জেলায় করোনায় মৃত্যু হয়েছে ৪৪জনের। করোনা সংক্রমণ কমতে থাকায় প্রভাব পড়েছে কন্টেনমেন্ট জ়োনেও। এত দিন মুর্শিদাবাদ জেলায় ৬৫টি কন্টেনমেন্ট জ়োন ছিল। এখন কমে দাঁড়িয়েছে ৪৪টিতে।
গত দু’সপ্তাহ থেকে জেলায় করোনার প্রকোপ কমার কারণ কী? জেলা স্বাস্থ্য দফতরের কর্তারা জানান, যখন এই ধরনের রোগ দেখা দেয়, তখন রোগ শুধু বেড়ে চলে এমনটা হয় না। কখনও রোগ বাড়ে, কখনওবা রোগ কমে। তবে এই সময়ে সংক্রমণ একাধিক কারণে কমেছে বলে মনে করা হচ্ছে। মুর্শিদাবাদের মুখ্য স্বাস্থ্য আধিকারিক প্রশান্ত বিশ্বাস বলেন, ‘‘করোনার পরীক্ষা আগের থেকে বেশি হচ্ছে। ফলে করোনা আক্রান্তদের দ্রুত চিহ্নিত করে ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে। যার জেরে সংক্রমণ ছড়ানোর সুযোগ কম পাচ্ছে। মানুষও সচেতন হয়েছে।’’

Advertisement

(জরুরি ঘোষণা: কোভিড-১৯ আক্রান্ত রোগীদের জন্য কয়েকটি বিশেষ হেল্পলাইন চালু করেছে পশ্চিমবঙ্গ সরকার। এই হেল্পলাইন নম্বরগুলিতে ফোন করলে অ্যাম্বুল্যান্স বা টেলিমেডিসিন সংক্রান্ত পরিষেবা নিয়ে সহায়তা মিলবে। পাশাপাশি থাকছে একটি সার্বিক হেল্পলাইন নম্বরও।

• সার্বিক হেল্পলাইন নম্বর: ১৮০০ ৩১৩ ৪৪৪ ২২২
• টেলিমেডিসিন সংক্রান্ত হেল্পলাইন নম্বর: ০৩৩-২৩৫৭৬০০১
• কোভিড-১৯ আক্রান্তদের অ্যাম্বুল্যান্স পরিষেবা সংক্রান্ত হেল্পলাইন নম্বর: ০৩৩-৪০৯০২৯২৯)

Advertisement
(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন