Murder

দমকলকর্মীকে কুপিয়ে খুনের অভিযোগ কৃষ্ণনগরে, কারণ ঘিরে ঘনাচ্ছে রহস্য

পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, বুধবার রাত ৩টে নাগাদ কৃষ্ণনগর কোতোয়ালি থানার নুড়িপাড়া এলাকার ঘটনা। মনে করা হচ্ছে, গলির ভিতরে মত্তদের সঙ্গে বচসায় জড়িয়ে পড়েন তুহিন।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

কৃষ্ণনগর শেষ আপডেট: ২৭ অক্টোবর ২০২২ ১৮:০৪
Share:

দমকল কর্মীকে কুপিয়ে খুন। প্রতীকী চিত্র।

কালী প্রতিমা বিসর্জন দেওয়ার সময় দমকলের এক কর্মীকে কুপিয়ে খুনের অভিযোগ উঠল। বুধবার গভীর রাতের ঘটনা নদিয়ার কৃষ্ণনগরে। নিহতের নাম তুহিনশুভ্র বসু (৩৯)। তিনি কৃষ্ণনগরের নেদেরপাড়া এলাকার বাসিন্দা। রানাঘাট দমকল বিভাগের কর্মী ছিলেন তুহিন। ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে পুলিশ।

Advertisement

পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, বুধবার রাত ৩টে নাগাদ কৃষ্ণনগর কোতোয়ালি থানার নুড়িপাড়া এলাকার গলিতে ঘটেছে ঘটনাটি। প্রাথমিক ভাবে মনে করা হচ্ছে, গলির ভিতরে মত্তদের সঙ্গে বচসায় জড়িয়ে পড়েছিলেন তুহিন। তা থেকেই এমন কাণ্ড ঘটেছে বলে অনুমান। ইতিমধ্যেই তুহিনের পরিবারের তরফে কোতোয়ালি থানায় দায়ের করা হয়েছে খুনের অভিযোগ। যদিও কে বা কারা এই খুনের সঙ্গে জড়িত তা জানা যায়নি। দুষ্কৃতীদের খোঁজে তল্লাশি চালাচ্ছে পুলিশ।

কৃষ্ণনগর পুলিশ জেলার সুপার ঈশানী পাল বলেন, ‘‘বিষয়টি তদন্ত করা দেখা হচ্ছে। বিভিন্ন দিক খতিয়ে দেখা হচ্ছে। দুষ্কৃতীদের ধরতে তল্লাশি শুরু হয়েছে। তারা ধরা পড়লে খুনের কারণ স্পষ্ট হবে। বিসর্জনকে কেন্দ্র করে খুন বলে অভিযোগ উঠলেও, এখনও পর্যন্ত তার কোনও প্রমাণ পাওয়া যায়নি। কারণ খুনটা একটা ফাঁকা গলিতে হয়েছে। কিন্তু বিসর্জন হচ্ছিল নির্দিষ্ট রুটে।’’

Advertisement

তুহিনের পরিবার সূত্রে জানা গিয়েছে, তিনি রানাঘাটে দমকল বিভাগে কর্মরত ছিলেন। এক সন্তান এবং স্ত্রীকে নিয়ে কৃষ্ণনগরের নেদেরপাড়ায় থাকতেন। কালীপুজোর ভাসান দেখতে বুধবার রাত ২টো নাগাদ চৌরাস্তায় গিয়েছিলেন তুহিন। তাঁর সঙ্গে ছিল দুই বন্ধুও। তাঁদের সূত্রে জানা গিয়েছে, ওই রাতে একটি গলিতে প্রস্রাব করতে ঢুকেছিলেন তুহিন। সেখানে কয়েক জন মদ্যপান করছিল। তাদের সঙ্গে তুহিনের বচসা বেধে যায়। মত্তেরা তুহিনকে ধারালো অস্ত্র দিয়ে পায়ে কোপ মারে। তাঁকে উদ্ধার করে শক্তিনগর জেলা হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। কিন্তু তুহিনকে বাঁচানো যায়নি।

তুহিনের ভাই অর্কশুভ্র বসু বলেন, ‘‘আমার কাছে হঠাৎ ফোন আসে। জানতে পারি, দাদা ধারালো অস্ত্রের আঘাতে আহত হয়েছেন। সঙ্গে সঙ্গে আমি হাসপাতাল যাই। ওর বন্ধুদের সঙ্গে কথা বলেছি। কিন্তু বন্ধুদের বয়ান মিলছে না। এক জন বন্ধু বলছে, ‘আমরা দু’জন ছিলাম।’ আর এক জন বন্ধু বলছে, ‘আমরা তিন জন ছিলাম।’ কেউ বলছে, ‘ওকে ধাক্কা মেরে ফেলে দেওয়া হয়েছে।’ কেউ বলছে, ‘ওকে কোপ মারা হয়েছে।’ বন্ধুদের কথায় অসঙ্গতি রয়েছে। কে বা কারা মেরেছে বুঝতে পারছি না। আমরা চাই দোষীদের শাস্তি হোক।’’

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন