BJP Leader Death

মধ্য তিরিশের মহিলাকে ঘিরে যাবতীয় রহস্য

কল্যাণীর বুদ্ধপার্ক এলাকার ওই হোটেল সূত্রে জানা যাচ্ছে, ওই মহিলা হোটেলে পরিচিত মুখ।তবে পরিচয়পত্রে লেখা নামের পরিবর্তে অন্য নামে হোটেলের কর্মীদের কাছে তিনি পরিচিত।

Advertisement

অমিত মণ্ডল, প্রকাশ পাল

কল্যাণী, চুঁচুড়া শেষ আপডেট: ০৭ অগস্ট ২০২৩ ০৫:১০
Share:

—প্রতীকী চিত্র।

হুগলির ধনেখালির বিজেপির-২ মণ্ডলের সভাপতি সুদীপ ঘোষের (৩৭) ঝুলন্ত দেহ পাওয়ার পর এক মহিলাকে কেন্দ্র করে রহস্য দানা বাঁধছে।

Advertisement

পুলিশ সূত্রের খবর, মহিলা মধ্য তিরিশের। তাঁর স্বামী মারা গিয়েছেন। যে হোটেলে সুদীপের দেহ মিলেছে সেখানকার কর্মী ও পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, শুক্রবার গভীর রাতে ওই মহিলাই হোটেলের এক কর্মীকে ফোন করে সুদীপের ঘরে খোঁজ নিতে বলেন।

সুদীপের বাবা সুফলচন্দ্র ঘোষ শনিবার সন্ধ্যায় কল্যাণী থানায় খুনের অভিযোগ দায়ের করেন। তাঁর ছেলের মৃতদেহের মাথার আঘাতের চিহ্ন আছে বলে তিনি অভিযোগপত্রে দাবি করেছেন। যদিও অভিযোগপত্রে নির্দিষ্ট কারও নাম তিনি উল্লেখ করেননি। বিজেপির হুগলি সাংগঠনিক জেলা সভাপতি তুষার মজুমদার দাবি করেন, ময়নাতদন্তের পরে তাঁরা দেখেছেন যে, সুদীপের মাথায় একটি আঘাতের দাগ, পায়ে কালশিটে।

Advertisement

কল্যাণীর বুদ্ধপার্ক এলাকার ওই হোটেল সূত্রে জানা যাচ্ছে, ওই মহিলা হোটেলে পরিচিত মুখ।তবে পরিচয়পত্রে লেখা নামের পরিবর্তে অন্য নামে হোটেলের কর্মীদের কাছে তিনি পরিচিত। আগেও চার-পাঁচ বার কখনও সুদীপের সঙ্গে, কখনও দু’জনে আলাদা ভাবে হোটেলে এসেছেন। কখনও দু’জনে রাতে এক ঘরে থাকতেন। সুদীপ হোটেলে মদ্যপান করতেন বলে হোটেলের কর্মীরা জানিয়েছেন। আবার কোনও বার সকালে হোটেলে সুদীপের ঘরে ঢুকে সন্ধ্যায় বেরিয়ে যেতেন। সুদীপ ছাড়া অন্য একাধিক লোকের সঙ্গেও ওই মহিলা হোটেলে আসতেন বলে জানা গিয়েছে।

হোটেল সূত্রের খবর, ওই মহিলার বাড়ি কল্যাণীর মদনপুরের আলাইপুর এলাকায়। কিন্তু তিনি হুগলির দিকে ভাড়াবাড়িতে থাকতেন। তাঁর সঙ্গে সুদীপের পরিচয় কী ভাবে হয়েছিল, সেই বিষয়ে হোটেলের কেউ বলতে পারেননি। গত বৃহস্পতিবার সুদীপ সন্ধ্যায় মোটরবাইকে হোটেলে আসেন। দু'দিনের জন্য হোটেলের দোতলায় ২০৯ নম্বর ঘর বুক করেন। ওই দিনই রাত ১১টা নাগাদ ওই মহিলা হোটেলে ঢোকেন। থাকেন ঠিক উল্টোদিকে ২১০ নম্বর ঘর। এ বারই প্রথম তাঁর সঙ্গে তাঁর মেয়ে-সহ একাধিক পরিজন ছিলেন।

তবে ওই মহিলা সে দিন রাতেও সুদীপের ঘরেই ছিলেন। শুক্রবার সকালে তাঁরা সবাই একসঙ্গে খাওয়াদাওয়া করেন। সন্ধ্যা সাড়ে ছ'টা নাগাদ ওই মহিলা ও তাঁর আত্মীয়েরা হোটেল ছেড়ে বেরিয়ে যান। শুক্রবার রাতে দেড়টা নাগাদ হোটেলে বিশ্বজিৎ হালদার নামে এক কর্মীকে ওই মহিলা ফোন করেন। বিশ্বজিৎ বলেন, "উনি বলেন, ২০৯ নম্বর ঘরে কোনও সমস্যা হচ্ছে। খোঁজ নাও ভাই।’’ এর কিছু ক্ষণ পরে সুদীপের দেহ মেলে।

পুলিশ ইতিমধ্যে হোটেলের পাঁচ জন কর্মী-সহ একাধিক ব্যক্তিকে জিজ্ঞাসাবাদ করেছে। ওই মহিলার খোঁজ চলছে। এ দিন তাঁর ফোন ‘নট রিচেবল’ পাওয়া গিয়েছে।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন