উচ্চ মাধ্যমিক পরীক্ষা চলাকালীন একই বেঞ্চে বসে বেশ কিছু সময় ধরে দুই পরীক্ষার্থী নিজেদের মধ্যে খাতা বদল করার চেষ্টা করছিল। আর বারবার তাদের বাধা দেওয়ার চেষ্টা করছিলেন পরীক্ষার হলে দায়িত্বে থাকা শিক্ষক। এতে খেপে গিয়ে ওই শিক্ষককে ঘুসি মারার অভিযোগ উঠল ওই দুই পরীক্ষার্থীর এক জনের বিরুদ্ধে। সোমবার ঘটনাটি ঘটেছে হাঁসখালির বগুলা হাইস্কুলে।
পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, অভিযুক্ত ছাত্রের নাম অনিমেষ বিশ্বাস। তার খাতা বাতিল করা হয়েছে। ওই ঘটনার পর কাঞ্চন বিশ্বাস নামে আহত ওই শিক্ষককে নিয়ে যাওয়া হয় বগুলা গ্রামীণ হাসপাতালে। প্রাথমিক চিকিৎসার পরে তাঁকে ছেড়ে দেওয়া হয়। কাউন্সিল সূত্রে জানা গিয়েছে, অভিযুক্ত ছাত্রকে পরের পরীক্ষাগুলিতেও বসতে দেওয়া হবে না। ওয়েস্টবেঙ্গল কাউন্সিল অব হায়ার এডুকেশনের নদিয়া জেলার যুগ্ম আহ্বায়ক দিলীপ সিংহ বলেন, “ওই ছাত্র শুধু এ বছরই নয়, পরের তিন বছরও পরীক্ষার অনুমতি নাও পেতে পারে। এমনকি তার কাউন্সিলের রেজিস্ট্রেশনও বাতিল করা হতে পারে।”
বগুলা হাইস্কুলে পরীক্ষা দিচ্ছে বড়মুড়াগাছা স্বামী নরোত্তমা নন্দ হাইস্কুলের পড়ুয়ারা। এ দিন ছিল সংস্কৃত পরীক্ষা। স্কুল কর্তৃপক্ষ জানিয়েছেন, পরীক্ষা শুরুর কিছু সময় পর থেকেই দুই ছাত্র নিজেদের মধ্যে খাতা বদল করার চেষ্টা করছিল। যাতে তারা একে অন্যের খাতা দেখে লিখতে পারে। বগুলা হাইস্কুলের প্রধান শিক্ষক উৎপল বিশ্বাস বলেন, “ওই শিক্ষক বেশ কয়েকবার দুই ছাত্রকে খাতা বদল করতে বাধা দেন। এর পরে আচমকা অনিমেষ বিশ্বাস নামে ওই ছাত্র তাঁর মুখে ঘুসি মারে।” প্রথম দিকে ওই ছাত্রের বিরুদ্ধে পুলিশে এফআইআর করার কথা ভাবা হয়। যদিও তা শেষ পর্যন্ত করা হয়নি। উৎপল বলেন, “ছাত্রটির ভবিষ্যতের কথা ভেবে এবং মানবিক কারণে কাঞ্চনবাবু শেষ পর্যন্ত এফআইআর করতে চান নি।’’