বিয়ের দাবি, প্রেমিকের দুয়ারে প্রেমিকার ধর্না

মেয়েটির নাম মাফিজা খাতুন। তিনি পাশের গ্রাম গোবিন্দপুরের বাসিন্দা।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

কালীগঞ্জ শেষ আপডেট: ২৫ জুন ২০১৯ ০৪:৫৯
Share:

ধর্নায় মাফিজা খাতুন। নিজস্ব চিত্র

ধূপগুড়ির পরে আবার ভালবাসা ফিরে পেতে ধর্না। তবে এ বার উলটপুরাণ। প্রেমিকের বাড়ির দরজায় বসলেন প্রেমিকা।

Advertisement

ঘটনাটি কালীগঞ্জ ব্লকের রাধাকান্তপুরের পূর্বপাড়ার। সোমবার সকাল দশটা নাগাদ হঠাৎই পিঠে একটি ব্যাগ নিয়ে জিন্নাত আলির বাড়ির সামনে এসে হাজির হন একটি মেয়ে। তার পর ব্যাগে করে আনা কাগজ পেতে বাড়ির বাইরে বসে পড়েন। যদিও প্রেমিকের দিনভর দেখা মেলেনি। সে সময়ে ছেলেটির বাড়িতে ছিলেন তাঁর মা। তিনি অবস্থা বেগতিক বুঝে বাড়ির দরজায় তালা লাগিয়ে বাইরে চলে যান।

মেয়েটি তখনও সেখানেই বসে ছিলেন। এর পর পাড়ার লোকজন কৌতূহলী হয়ে বিষয়টি কী জানতে চাইলে মেয়েটি বলেন, ‘‘ভালবাসা ফিরে পেতে এসেছি। ও যতক্ষণ না আমায় বিয়ে করবে, তত ক্ষণ আমি এখান থেকে যাব না।’’

Advertisement

মেয়েটির নাম মাফিজা খাতুন। তিনি পাশের গ্রাম গোবিন্দপুরের বাসিন্দা। স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, মাফিজার সঙ্গে জিন্নাতের সম্পর্কের কথা এলাকার অনেকেই জানেন। এ নিয়ে দুই পরিবারের মধ্যে কথাবার্তাও হয়েছিল। তার পরেও কেন হঠাৎ করে এই রকম ঘটনা ঘটল, তা কারও কাছেই স্পষ্ট নয়। এই ঘটনার পরে এলাকায় লোকজনের ভিড় জমতে শুরু করে।

মাফিজা এ দিন জানান, কলেজে পড়ার সময়ে জিন্নাতের সঙ্গে তাঁর ভালবাসার সম্পর্ক তৈরি হয়। কিন্তু কলেজ শেষ হতেই জিন্নাত সম্পর্ক থেকে সরে যেতে থাকেন।

মাফিজার কথায়, এই সম্পর্কের কথা দুই বাড়ির সকলেই জানতেন। দু’জনের বিয়ে হবে, সেটাও ঠিক ছিল। তাঁর অভিযোগ, সেই কারণে জিন্নাতের চাকরির জন্য মাফিজার বাড়ি থেকে কয়েক খেপে প্রায় দেড় লক্ষ টাকা নগদও দেওয়া হয়।

মাফিজা আরও অভিযোগ, ‘‘বিয়ের প্রতিশ্রুতি দিয়ে আমায় অনেক বার হোটেলেও নিয়ে গিয়েছে জিন্নাত। কিন্তু হঠাৎ করে জিন্নাত কেন এই সম্পর্ক থেকে ঘুরে দাঁড়াল, বুঝতে পারছি না।’’

বিকালে ছেলের মা রবিনা বিবি ফিরে এসে মাফিজাকে মারধর করে বলে তাঁর অভিযোগ। যদিও পুলিশের কাছে তিনি অভিযোগ জানাননি। ব্লক অফিসের লোকজন গিয়ে তাঁর সঙ্গে দেখা করেন। পুলিশও গিয়ে ঘটনাস্থল ঘুরে এসেছে। তরুণীর দাবি, বিয়ের আশ্বাস না পাওয়া পর্যন্ত তিনি ধর্না থেকে সরবেন না। গভীর রাত পর্যন্ত তিনি সেখানেই বসে ছিলেন।

এই বিষয়ে মাফিজার ঠাকুমার সঙ্গে যোগাযোগ করে হলে তোসমিমা বেওয়া বলেন, ‘‘এখন ছেলের বাড়ি থেকে বিয়ে দিতে রাজি হচ্ছে না। এই পরিস্থিতিতে কে ওকে বিয়ে করবে?’’

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement