প্রজাতন্ত্র দিবস, সরস্বতী পুজো, স্কুল ক্রীড়ার মতো বিশেষ দিনগুলিতে মিড-ডে মিল খাওয়ানো হয়েছে বলে স্কুলের নথিতে উল্লেখ রয়েছে। যদিও খাতায়-কলমে স্কুল ছুটি ছিল।
বেলডাঙা-২ ব্লকের রামনগর হাইস্কুলে শিক্ষিক-শিক্ষিকাদের একটি অংশের অভিযোগ, স্কুলে গড়ে ৬০ শতাংশ পড়ুয়া হাজির থাকে। কিন্তু খাতায়-কলমে ৯০ শতাংশ পড়ুয়ার উপস্থিতি দেখিয়ে ভারপ্রাপ্ত শিক্ষক প্রকাশ মণ্ডল হিসেবের গরমিল করে দুর্নীতি করছেন। জেলাশাসক ও জেলা বিদ্যালয় পরিদর্শকের কাছে লিখিত অভিযোগ জানানো হয়েছে আগেই। আজ, শুক্রবার ফের স্কুল পরিদর্শককে স্মারকলিপি জমা দেবেন বলে ঠিক করেছেন ওই শিক্ষকেরা।
তাঁদের অভিযোগ, প্রতি ক্লাসে সরকার নির্ধারিত ২৪০ টাকার চেয়ে বেশি ফি নেওয়া হয়। অনেক সময়ে রসিদও দেওয়া হয় না পড়ুয়াদের। স্কুল-পত্রিকা প্রকাশের জন্য ২০ টাকা করে নেওয়া হলেও পত্রিকা বের হয় না। ছাত্রছাত্রী থেকে শিক্ষক-শিক্ষিকা ও শিক্ষাকর্মীদের সঙ্গে শিক্ষকসুলভ আচরণও নাকি করেন না প্রকাশবাবু।
স্কুলের শিক্ষক অমৃতেন্দু দাসের দাবি, ‘‘মিড-ডে মিলের ইউটিলাজেশন সার্টিফিকেট দেখলেই বিষয়টি স্পষ্ট হয়ে যাবে। নিম্নমানের খাবার কম পরিমাণে দেওয়া হয়। অস্বাস্থ্যকর পরিবেশে পড়ুয়াদের তা খেতে বাধ্য করা হয়।’’ এর আগে এক শিক্ষিকার সঙ্গে অশালীন আচরণের অভিযোগ উঠলেও প্রকাশবাবু তার পুনরাবৃত্তি হবে না জানিয়ে মুচলেকা দেন। স্কুল স্টাফ কাউন্সিলের সম্পাদক শর্মিষ্ঠা পাঠক বলেন, ‘‘ওঁর ঘরে দেখা করতে গেলে আমরা শিক্ষিকারা একা যাই না। দল বেঁধে যাই, যাতে তিনি অশালীন আচরণ করার সাহস না পান।’’
বহুবার যোগায়োগ করার চেষ্টা করলেও প্রকাশবাবু ফোন ধরেননি। এসএমএসের জবাবও দেননি। জেলা বিদ্যালয় পরিদর্শক পূরবী বিশ্বাস দে জানান, তাঁরা দুর্নীতির অভিযোগ পেয়েছি। তদন্ত করে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ করা হবে।