পুলিশ-নিগ্রহের চলতি হাওয়ায় জুড়ে গেল নবদ্বীপের নামও। রবিবার রাতে কর্তব্যরত এক পুলিশকর্মীকে মারধরের ঘটনা ঘটেছে নবদ্বীপ ব্লকের মহেশগঞ্জে।
পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, রবিবার সন্ধ্যা থেকেই মহেশগঞ্জ গ্রামীণ হাসপাতালের সামনে রাজ্য সড়কের উপর হেলমেটহীন দ্রুতগতির বাইক ধরার অভিযানে নেমেছিল পুলিশ। সেই সঙ্গে পরীক্ষা করা হচ্ছিল সব ধরনের গাড়ির কাগজপত্র। রাত আটটা নাগাদ অস্বাভাবিক গতিতে ছুটে আসা একটি গাড়িকে পরীক্ষার জন্য থামাতেই প্রচণ্ড রেগে যান গাড়ির চার আরোহী। মদ্যপ অবস্থায় দলবেঁধে গাড়ি থেকে নেমে এসে পুলিশকর্মীদের কাছে কৈফিয়ত চায় তারা। কেন তাদের দাঁড় করানো হয়েছে, প্রশ্ন করতেই শুরু হয় বচসা। এর পরেই তারা পুলিশ কর্মীদের বেপরোয়া ভাবে মারধর শুরু করেন।
যুবকদের মারে আহত হয়েছেন ঘটনাস্থলে কর্তব্যরত নবদ্বীপ থানার এক সাবইন্সপেক্টর অভিজিৎ রায় এবং দু’জন সিভিক ভল্যান্টিয়ার চিরঞ্জীব সাধুখাঁ ও আসব আলি। শনিবার রাতেই নবদ্বীপ থানায় সরকারি
কাজে বাধা দেওয়া এবং পুলিশকর্মীদের মারধরের ঘটনায় সমীর মল্লিক, রনিত হালদার ও বাপন পাল নামে তিন জনের বিরুদ্ধে অভিযোগ দায়ের হয়। অভিযুক্তদের মধ্যে চরমাজদিয়া বাজার এলাকার বাসিন্দা সমীর মল্লিককে পুলিশ ওই রাতেই গ্রেফতার করেছে। অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে ভারতীয় দন্ডবিধির ৩২৩, ৩৫৩ এবং ৩৪ ধারা মামলা রুজু হয়েছে। রবিবার ধৃতকে নবদ্বীপ আদালতে তোলা হলে বিচারক চোদ্দো দিনের জেল হেফাজতের নির্দেশ দিয়েছেন।