ছবি: এআই সহায়তায় প্রণীত।
‘এসআইআর-আতঙ্কে’ আবার একটি প্রাণহানির অভিযোগ। আবার ঘটনাস্থল মুর্শিদাবাদ জেলা। মৃতের নাম কমল নন্দী।
পরিবারের দাবি, ভোটার তালিকার বিশেষ নিবিড় সংশোধনের প্রক্রিয়া নিয়ে দুশ্চিন্তায় ভুগছিলেন বেলডাঙার মহুলার বাসিন্দার কমল। রবিবার বাড়িতে অ্যাসিড খান তিনি। সোমবার চিকিৎসাধীন অবস্থায় মুর্শিদাবাদ মেডিক্যাল কলেজে মৃত্যু হয়েছে ৫৩ বছরের প্রৌঢ়ের।
স্থানীয় সূত্রে খবর, কমলের আদি বাড়ি বিহারে। বেলডাঙার শ্বশুরবাড়ি সূত্রে পাওয়া বাড়িতে দীর্ঘ দিন ধরে বসবাস করছিলেন। সম্প্রতি এসআইআরের জন্য প্রয়োজনীয় নথি নিয়ে প্রবল উদ্বেগে ছিলেন কমল। পরিবারের দাবি, রাজ্যের সীমানার বাইরে তাঁর পুরনো ঠিকানা হওয়ায় এসআইআর শুরু হওয়ার পর থেকেই মানসিক চাপে ছিলেন তিনি। এ রাজ্যের ভোটার তালিকায় তাঁর নাম থাকবে কি না, সেই চিন্তায় কয়েক দিন খাওয়াদাওয়া প্রায় বন্ধ করে দিয়েছিলেন।
রবিবার সন্ধ্যায় সকলের অলক্ষ্যে কমল অ্যাসিড গলায় ঢালেন। পরিবারের সদস্যেরা তাঁকে উদ্ধার করে মুর্শিদাবাদ মেডিক্যাল কলেজে নিয়ে যান। সোমবার ওই হাসপাতালেই তাঁর মৃত্যু হয়।
সোমবারই পশ্চিম মেদিনীপুরের পিংলা বিধানসভার খড়্গপুর-২ ব্লকের দক্ষিণ ঢেকিয়া গ্রামের বাসিন্দা বাবলু হেমব্রম মারা গিয়েছেনম। ৪০ বছরের যুবক ২৫ নম্বর ঢেকিয়া বুথের ভোটার ছিলেন। পরিবারের দাবি, ২০০২ সালের ভোটার তালিকায় বাবা-মায়ের নাম না পেয়ে আতঙ্কগ্রস্ত হয়ে পড়েছিলেন তিনি। চিন্তায় কয়েক দিন ঠিক করে খাওয়াদাওয়া করেননি। রাতে ঘুমোতেন না। এর মধ্যে ২০২৫ সালের সংশোধিত ভোটার ফর্ম হাতে পান বাবলু। তাতে আরও আতঙ্কিত হয়ে পড়েছিলেন। সোমবার স্ট্রোকে তাঁর মৃত্যুর পর এসআইআরকে দুষছে পরিবার। এই নিয়ে রাজ্যের ২৮ জনের মৃত্যুর নেপথ্যে এসআইআরকে দায়ী করা হয়েছে। শুধু মুর্শিদাবাদেই মারা গিয়েছেন পাঁচ জন।