স্ত্রীকে খুনের চেষ্টা, গ্রেফতার বিচারক

অভিযোগ উঠেছিল বেশ কিছু দিন আগেই। স্ত্রীকে খুন করার চেষ্টার সেই অভিযোগে শেষ পর্যন্ত গ্রেফতারই করা হল আলিপুরদুয়ার আদালতের জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট-১ এস এম শাহনাওয়াজকে।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

বহরমপুর শেষ আপডেট: ২১ অগস্ট ২০১৬ ০১:৫৫
Share:

অভিযোগ উঠেছিল বেশ কিছু দিন আগেই। স্ত্রীকে খুন করার চেষ্টার সেই অভিযোগে শেষ পর্যন্ত গ্রেফতারই করা হল আলিপুরদুয়ার আদালতের জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট-১ এস এম শাহনাওয়াজকে।

Advertisement

শনিবার তাঁকে বহরমপুর আদালতে তোলা হলে বিচারক তাঁর জামিনের আবেদন খারিজ করে দিয়ে, ২ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত জেল হেফাজতে রাখার নির্দেশ দিয়েছেন মুর্শিদাবাদ সি জে এম পিনাকি মিত্র। ওই বিচারকের আইনজীবী মিরাজুল মণ্ডল বলেন, ‘‘আগামী ২ সেপ্টেম্বর এস এম শাহনওয়াজকে আদালতে হাজির করার সময়ে কেস ডায়েরিও পেশ করার নির্দেশ দিয়েছেন বিচারক।’’

পুলিশ জানায়, শুক্রবার জলপাইগুড়ির মার্চেন্ট রোড থেকে গ্রেফতার করা হয় ওই বিচারককে। এ দিন আদালতে রায়ের পরে, ওই বিচারককে জেলে নিয়ে যাওয়ার পথে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে অবশ্য একটি কথাও বলেননি তিনি।

Advertisement

আদালত সূত্রে জানা গিয়েছে, ২০০৭ সালে সাদমনি খাতুনের সঙ্গে বিয়ে হয় বর্ধমানের আসানসোলের তৎকালীন আইনজীবী শাহনওয়াজের। সাদমনির দাদা ফজলে রাজি বলেন, ‘‘আমরাই শাহনাওয়াজের আইনি পড়াশোনার খরচ জুগিয়েছিলাম। তবে, বিচারক হয়েই তিনি ভোল পাল্টে ফেলেছিলেন।’’

সাদমনির পরিবারের দাবি, বিচারক হয়েই তিনি ১০ লক্ষ টাকা দাবি করে বসেন। দিতে না পারায় শুরু হয়েছিল স্ত্রীর উপরে অত্যাচার। তাঁর স্ত্রী সাদমনিও বলছেন, ‘‘পণের টাকা দাবি তো করতই সঙ্গে ছিল বিবাহ বর্হিভুত সম্পর্কও। তা নিয়ে প্রতিবাদ করলেই মারধর করত।’’

এই অবস্থায়, গত বছর বহরমপুরে বিচারক আবাসনের ছাদ থেকে তাঁকে ঠেলে ফেলে দেন তিনি বলে অভিযোগ দায়ের করেন সাদমনি। তাঁর অভিযোগ, ‘‘২০১৫ সালের ১৬ অগস্ট শারীরিক অত্যাচারের মাত্রা চরমে উঠলে, আমাদের দোতলায় যে বিচারক থাকতেন তাঁর কাছে অভিযোগ জানাতে ছুটে ছিলাম আমি। কিন্তু আমাকে জোর করে ছাদের নিয়ে গিয়ে ঠেলে ফেলে দেন নীচে।’’

সাদমনিকে প্রথমে বহরমপুরে মুর্শিদাবাদ মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করানো হয়। পরে কলকাতার একটি বেসরকারি হাসপাতালে স্থানান্তরিত করা হয়। ওই সময় কলকাতার শেক্সপিয়র সরণির থানায় অভিযোগ দায়ের করেন সাদমনি।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন