মাস ছয়েকের শিশুকে কুয়োর জলে ফেলে খুনের দায়ে জেঠিমা অর্চনা মণ্ডলকে যাবজ্জীবন সাজা দিলেন বিচারক।
২০১৪ সালের ১০ মার্চ সকালে ফরাক্কার আন্ধোয়া গ্রামের ওই ঘটনার বিচারাধীন বন্দী ছিল অর্চনা। সোমবার জঙ্গিপুর দ্বিতীয় অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা বিচারক মালতী কর্মকার তাঁকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ডের সাজা শোনান। সেই সঙ্গে ১০ হাজার টাকা জরিমানারও নির্দেশ দেন বিচারক। অনাদায়ে আরও এক বছর জেলে থাকতে হবে ওই মহিলাকে।
এই সাজায় অবশ্য খুশি নন মৃত শিশুটির মা কবিতা মণ্ডল। তিনি বলেন, “সকলের সংসারেই অশান্তি থাকে। একই উঠোনে আমাদের সংসার। বড় জা অর্চনার সঙ্গে মাঝেমধ্যেই ঝাগড়া হত। কিন্তু তার জন্য বারান্দায় দোলনার উপর ঘুমন্ত ৬ মাসের শিশুকে তুলে কেউ কুয়োয় ফেলে এ ভাবে খুন করতে পারে! তাই চেয়েছিলাম ওর ফাঁসি হোক।’’
সরকারি আইনজীবী বামনদাস বন্দ্যোপাধ্যায় জানান, একই উঠোনের পাশাপাশি দুই ভাই— কৃষ্ণ ও জিতেন মণ্ডলের বাড়ি। দু’জনই পেশায় দিনমজুর। ঘটনার দিন দু’জনেই
কাজে বেরিয়ে যান। জিতেনের স্ত্রী কবিতার দুই ছেলে। বড় ছেলে নয়নের বয়স তিন বছর। ছোট মিঠু বয়স মেরেকেট মাস ছয়েক। ওই দিন বেলা সাড়ে ১০টা নাগাদ মিঠুকে ঘুম পাড়িয়ে বারান্দায় দোলনায় রেখে বড় ছেলেকে নিয়ে পুকুরে যান কবিতা। বাড়িতে তখন বড় জা অর্চনা ছাড়া কেউ ছিলেন না।
পুকুর থেকে বাড়ি ফিরে কবিতা দেখেন দোলনায় তাঁর ছেলে নেই। তখনই খোঁজ-খবর শুরু হয়। ছুটে আসেন গ্রামবাসীরা। ঘণ্টা খানেক পর তাঁদের নজর যায় উঠোনের কুয়োয় দিকে। তারপরই কুয়োর জল থেকে উদ্ধার হয় শিশুটির দেহ। এ দিন বিচারক অর্চনাকে ওই ঘটনায় যাবজ্জীবন সাজা শোনান।
যুবকের মৃত্যু। সাপের ছোবলে এক যুবকের মৃত্যু হয়েছে। রবিবার রাতে খড়গ্রামের শঙ্করপুরের ঘটনা। মৃত ওই যুবকের নাম সামিরুল শেখ (২৪)। ওই যুবক খড়গ্রামের নগর এলাকার বাসিন্দা। ওই দিন তিনি শ্বশুরবাড়িতে ছিলেন। রাতে ঘুমন্ত অবস্থায় তাঁকে সাপে ছোবল মারে। ভোরে তাঁকে কান্দি হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। সেখানে চিকিৎসা শুরু আগেই তাঁর মৃত্যু হয়।