পরীক্ষায় নম্বর কম দেওয়ার জুজু দেখিয়ে ছাত্রছাত্রীদের কাছ থেকে অতিরিক্ত টাকা আদায় ও মারধরের অভিযোগে এর আগেই গ্রেফতার হয়েছিলেন বালিয়াডাঙা শরিফ বিএড কলেজের পরিচালন সমিতির সম্পাদক শরিফউদ্দিন মণ্ডল। এ বার জেলা প্রশাসনের তরফে অনির্দিষ্ট কালের জন্য কলেজটি ‘সিল’ করে দেওয়া হল।
মঙ্গলবার অতিরিক্ত জেলাশাসক (সাধারণ) উৎপল ভদ্র ও কৃষ্ণনগর সদর মহকুমাশাসক মৈত্রেয়ী গঙ্গোপাধ্যায় ওই কলেজে যান। সঙ্গে ছিলেন কোতোয়ালি থানার আইসি ও শান্তিপুর থানার ওসি। তাঁরা এ দিন ছাত্রছাত্রীদের পাশাপাশি কলেজ পরিচালন সমিতির সভাপতি শরিফউদ্দিন মণ্ডলের বাবা তোজাব আলি মণ্ডলের সঙ্গে কথা বলেন। কিন্তু কলেজের তরফে তাঁদের সঙ্গে কোনও রকম সহযোগিতা করা হয়নি বলে অভিযোগ। এমনকি কলেজের নথিপত্রও দেখানো হয়নি। উৎপলবাবু বলেন, ‘‘আমরা কলেজ কর্তৃপক্ষকে জানিয়ে কলেজে গিয়েছিলাম। তারপরেও কলেজের কেউ উপস্থিত ছিলেন না। শেষ পর্যন্ত কলেজ পরিচালন সমিতির সভাপতিকে বাড়ি থেকে ডেকে আনা হয়। তিনিও কোনও রকম সহযোগিতা করেননি।’’
এরপরে শান্তিপুর খানার পুলিশ শরিফুদ্দিন মণ্ডলের বাবা তোজাব আলিকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য আটক করে নিয়ে যায়। কলেজ সিল করে কোতোয়ালি থানার পুলিশ। তবে ছাত্রছাত্রীরা যাতে এ বছরই পরীক্ষায় বসতে পারেন তার জন্য জেলা প্রশাসনের তরফে কল্যাণী বিশ্ববিদ্যালয়ের কর্তৃপক্ষের সঙ্গে কথা বলে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলে জানিয়েছেন উৎপলবাবু। তিনি বলেন, ‘‘ছাত্রছাত্রীরা পরীক্ষা দেওয়ার বিষয়টি জানিয়ে আমাদের কাছে আবেদন করেছে। বিশ্ববিদ্যালয়ের সঙ্গে কথা বলব।’’ কলেজ পড়ুয়াদের রসিদ না দিয়ে টাকা নেওয়ার অভিযোগ প্রমাণিত হলে জেলা প্রশাসনের তরফে বিশ্ববিদ্যালয়ের কাছে শরিফ কলেজের অনুমোদন বাতিলের আবেদন জানানো হবে বলে প্রশাসন সূত্রে খবর।
জেলা প্রশাসনের পদক্ষেপে খুশি কলেজ পড়ুয়ারা। তাঁদের আবেদন, আমাদের একটা বছর যেন নষ্ট না হয়। প্রশাসন ও বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ যেন বিষয়টি দেখে। বিশ্ববিদ্যালয়ের তরফে এ দিনও সবরকম সহযোগিতার আশ্বাস দেওয়া হয়েছে।