প্রত্যাবর্তন: দলের চাপে ফ্লেক্সে ফিরলেন মুখ্যমন্ত্রী। নিজস্ব চিত্র
রোদের তেজ সামান্য বেড়েছে কী বাড়েনি, মিছিলে পা মেলাতে চলে এসেছেন কমবেশি সকলেই, তাল কাটল হঠাৎ।
নওদা ব্লক প্রশাসন ও একটি স্বেচ্ছাসেবী সংস্থার উদ্যোগে ‘মিশন নির্মল বাংলা’ ও ‘সেফ ড্রাইভ, সেভ লাইফ’ নিয়ে বাইকমিছিলের আয়োজন করা হয়েছিল। রবিবার সকালে প্রায় ১০০ মোটরবাইক নিয়ে ক্লাবের লোকজন-কর্তাব্যক্তিরা, ব্লকের বিডিও, যুগ্ম বিডিও, ব্লক প্রশাসন কর্তা ও স্থানীয় জনপ্রতিনিধিরা — জড়ো হয়েছিলেন সকলেই।
অভিযোগ, হঠাৎই পথ আটকান নওদা ব্লকের তৃণমূল কর্মী-সমর্থকরা। প্রশ্ন ছুড়ে দিলেন, মিছিলের ট্যাবলোতে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দোপাধ্যায়ের ছবি নেই কেন? তাঁরা বিডিও অফিসে বিক্ষোভ দেখাতে থাকেন। শেষে এমন পরিস্থিতি তৈরি হয় যে মিছিল বাতিল হওয়ার মুখে। তাঁরা দাবি করেন, মুখ্যমন্ত্রীর ছবি-সহ ফ্লেক্স ছাড়া এই মিছিল বেরোবে না।
স্থানীয় সূত্রে খবর, এই নিয়ে ওই স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন, ব্লক প্রশাসনের সঙ্গে তৃণমূল স্থানীয় নেতৃত্বের বাদানুবাদ শুরু হয়ে যায়। পরে নওদার বিডিওর নির্দেশে নওদা থানা থেকে জেলা পুলিশের তৈরি কিছু ফ্লেক্স জোগাড় করা হয়। তাতে মুখ্যমন্ত্রীর ছবি লাগানো ছিল। এর পরে তৃণমূলের বিক্ষোভ বন্ধ হয়।
নওদার আমতলা থেকে কবিগান, বাউল-সহ মিছিল বের হয়। পাটিকাবাড়ি ও গোঘাটা মোড় পার করে প্রায় ২৬ কিলোমিটার পথ প্রদক্ষিণ করে সেই মিছিল ব্লক দফতরে ফেরে।
নওদার বিডিও লিটন সাহা অবশ্য বলেন, ‘‘বাইক মিছিল বের করতে কোনও সমস্যা হয়নি। সচেতনতার ফ্লেক্সে মুখ্যমন্ত্রীর ছবি লাগাতে হবে এই দাবি উঠেছিল শুধু। পরে নওদা থানা থেকে এনে তা লাগানো হয়।’’
অংশগ্রহণকারী ক্লাবের সভাপতি সুজয় বিশ্বাস বলেন, ‘‘আমরা অরাজনৈতিক সংগঠন। আমাদের বিরুদ্ধে কোনও ক্ষোভ কেউ দেখায়নি। বিক্ষোভকারীদের দাবি ছিল, নওদা ব্লক প্রশাসন যে ফ্লেক্স ঝুলিয়েছে, তাতে মুখ্যমন্ত্রীর ছবি নেই কেন। বিডিও পরে নতুন ফ্লেক্স লাগালে বিক্ষোভ বন্ধ হয়।’’
তৃণমূলের পক্ষ থেকে জেলা তৃণমূলের সম্পাদক জুলফিকার আলি ভুট্টো বলেন, ‘‘আমাদের কর্মীরা বিডিও অফিয়ে গিয়ে দেখে সব ক’টি মুখ্যমন্ত্রীর প্রকল্প অথচ তাঁর মুখের কোনও ছবি নেই। সেই কারণেই ওরা বিক্ষোভ দেখাতে থাকে।’’ তিনি আরও বলেন, ‘‘পরে আমি ঘটনাস্থলে পৌঁছই। নওদা থানা থেকে নেত্রীর ছবি-সহ ফ্লেক্স এনে ঝোলানো হয়। শান্তিপূর্ণ ভাবেই মিছিল হয়েছে।’’