কী করি বলে দেন কর্তা

তাঁকে ঘিরে ভিড়টা চাক বাঁধার মাঝেই প্রশ্নটা উড়ে এল— ‘কী করি কয়্যা দেন কর্তা?’ ভরা বৈশাখে কিঞ্চিৎ অস্বস্তিতেই পড়ে গেলেন বোধহয় তিনি।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

কৃষ্ণনগর শেষ আপডেট: ১৪ মে ২০১৭ ০৩:০৭
Share:

সভা: কৃষ্ণনগরে অধীর চৌধুরী। —নিজস্ব চিত্র।

তাঁকে ঘিরে ভিড়টা চাক বাঁধার মাঝেই প্রশ্নটা উড়ে এল— ‘কী করি কয়্যা দেন কর্তা?’

Advertisement

ভরা বৈশাখে কিঞ্চিৎ অস্বস্তিতেই পড়ে গেলেন বোধহয় তিনি। কর্মীদের ফিসফাস, গুঞ্জনের মাঝে আটপৌরে গ্রামীণ নেতা এ বার তেড়ডেফুঁড়ে বলতে থাকেন, ‘‘এখানে মেরে মিথ্য়া মামলায় জড়িয়ে আমাদের জেলে পুরছে আর দিল্লিতে দিদির সঙ্গে বৈঠকে বসছেন কিনা সোনিয়াজি...আমরা কী করব বলেন দেখি কর্তা!’’

শনিবার দুপুরটা এমনই সোজা সাপটা প্রশ্নে যেন আরও তপ্ত হয়ে উঠেছিল নদিয়া ব্লক সভাপতি সম্মেলন। প্রদেশ সভাপতি অধীর চৌধুরীকে সামনে পেয়ে একে একে এমনই সটান প্রশ্নের সামনে পড়তে হল অধীরকে।

Advertisement

এ দিন, কৃষ্ণনগরের ঘুর্ণীতে ব্লক কংগ্রেসের নেতাদের নিয়ে পঞ্চায়েত ভোটের প্রস্তুতির বৈঠক ডেকেছিলেন অধীর। নদিয়া জেলার সব ব্লক এবং পুর সভাপতিরাই উপস্থিত ছিলেন। তবে ছিলেন না দলের দুই বিধায়ক অরিন্দম ভট্টাচার্য এবং শঙ্কর সিংহ।

সেখানেই করিমপুর হাঁসখালির ব্লক সভাপতিরা অধীরের কাছে জানতে চান ‘এখানে কুস্তি হলেও দিল্লিতে তৃণমূলের সঙ্গে এই দোস্তির আবহ’ কতটা বিশ্বাসযোগ্য।

অধীর অবশ্য তাঁদের আশ্বস্ত করেন, ‘‘এটা হতে দেব না।’’ তিনি বলেন, ‘‘বাংলায় আমাদের জব্দ করবেন দিদি আর দিল্লিতে গিয়ে কংগ্রেসকে ম্যানেজ করবেন এটা আমি থাকতে হতে দেব না। আপনারা এককভাবে ভোটে লড়াইয়ের জন্য প্রস্তুতি নিন।’’

দলীয় নেতাদের উদ্দেশে তিনি বলেন, ‘‘আপনারা আমাকে রাজনৈতিক কর্মসূচীতে ডাকেন না। শান্তিপুরে নবদ্বীপে কবে এসেছি ভুলেই গিয়েছি। আপানারা আমাকে ডাকুন। লোকজন না জোগাড় করতে পারলেও আপনাদের পদ যাবে না। প্রয়োজনে মঞ্চ, মাইকের খরচ আমি দেব।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
আরও পড়ুন