—প্রতিনিধিত্বমূলক চিত্র।
সীমান্তে ‘জ়িরো পয়েন্ট’-এ ঘাস কাটতে গিয়ে বাংলাদেশের সীমান্তরক্ষী বাহিনীর হাতে ধরা পড়লেন এক ভারতীয় যুবক। অভিযোগ, সোনা পাচারকারী সন্দেহে নদিয়ার তেহট্টের বাসিন্দা মিজারুল রহমান শেখ ওরফে মিজানকে তুলে নিয়ে যান বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ (বিজিবি)-র সদস্যেরা। তাঁকে দেশে ফেরানোর অনুরোধ নিয়ে ভারতের সীমান্তরক্ষী বাহিনীর (বিএসএফ)-র দ্বারস্থ হয়েছে মিজানের পরিবার।
স্থানীয় সূত্রে খবর, মিজান নদিয়ার তেহট্ট থানার সাহাপুরের বাসিন্দা। পরিবারের একমাত্র সন্তান তিনি। মিজানের বাবা ১০ বছর ধরে পরিযায়ী শ্রমিক। থাকেন ভিন্দেশে। সাহাপুরে তাঁদের সামান্য জমিজমা রয়েছে। সেই জমি কাঁটাতারের ও পারে ‘জ়িরো পয়েন্ট’-এর কাছে। জমি দেখভাল করতেন মিজানই।
জানা গিয়েছে, রবিবার সাহাপুর বিএসএফ ক্যাম্পের ৫৮ নম্বর গেটে ভোটার কার্ড এবং সাইকেল জমা রেখে নিজেদের জমিতে ঘাস কাটতে যান মিজান। সেই সময় বাংলাদেশি কোনও এক ব্যক্তিকে ধাওয়া করে বিজিবি। অভিযোগ, পালানোর সময় ওই ব্যক্তি তাঁর কাছে থাকা সোনা লুকিয়ে দেন মিজানের বস্তায়। বিজিবি এসে তাঁকে ধরলে বস্তা থেকে সোনা উদ্ধার হয়। তার পরই পাচারকারী সন্দেহে মিজানকে আটক করে বিজিবি। পরে গ্রেফতার করা হয়।
পুত্রের মুক্তির আবেদন নিয়ে সাহাপুর বিএসএফ ক্যাম্পে যান মিজানের মা। তবে বিএসএফ জানায়, যে হেতু মিজান সোনা পাচারের দায়ে ধরা পড়েছে তাই তাদের কিছু করার নেই। মিজানকে নিয়ে দুশ্চিন্তায় গোটা পরিবার। তবে বিএসএফের তরফ থেকে সাহায্যের আশ্বাস দেওয়া হয়েছে।