Murshidabad

নাবালক শ্যালককে হোটেলে বন্দি করে শ্বশুরবাড়ির কাছে চাইলেন মুক্তিপণ! বহরমপুরে গ্রেফতার জামা‌ই

বৃহস্পতিবার একটি রেস্টুরেন্ট থেকে অনলাইনে খাবার অর্ডার করেছিল বালকের পরিবার। সেই খাবার আনার জন্য বাড়ি থেকে মাত্রা ৫০ মিটার দূরত্বে গিয়েছিল বালক। কিন্তু আর বাড়ি ফেরেনি সে।

Advertisement

আনন্দবাজার ডট কম সংবাদদাতা

শেষ আপডেট: ২৯ নভেম্বর ২০২৪ ১৫:২১
Share:

— প্রতীকী চিত্র।

শ্যালককে অপহরণ করে শ্বশুরবাড়ির কাছ থেকে মুক্তিপণ আদায়ের চেষ্টা করলেন জামাইবাবু। নিখোঁজ নাবালককে হোটেলের ঘর থেকে উদ্ধারের পর এমনই তথ্য পেল পুলিশ। গ্রেফতার হয়েছেন নকুল গোয়েল নামে এক ব্যক্তি। মুর্শিদাবাদের বদরপুর এলাকায় নাবালকের বাড়ি। বহরমপুরের একটি হোটেল থেকে তাকে উদ্ধার করা হয়। সেখানেই পুলিশের হাতে ধরা পড়েন অভিযুক্ত।

Advertisement

পুলিশ সূত্রে খবর, গত বৃহস্পতিবার একটি রেস্তরাঁ থেকে অনলাইনে খাবার অর্ডার করেছিল বালকের পরিবার। সেই খাবার আনার জন্য বাড়ি থেকে মাত্রা ৫০ মিটার দূরত্বে গিয়েছিল বালক। কিন্তু আর বাড়ি ফেরেনি সে। বিভিন্ন জায়গায় খোঁজখবর করেও ছেলেটিকে পায়নি পুলিশ। প্রায় এক ঘণ্টা পর মুক্তিপণ চেয়ে মোবাইলে একটি ভিডিয়োবার্তা আসে। পরিবারের দাবি, ভিডিয়োটি পাঠিয়েছিলেন বাড়ির জামাই নকুল। ভিডিয়োবার্তায় বলা হয়, বহরমপুর বাসস্ট্যান্ড এলাকায় টাকা নিয়ে যেতে হবে। টাকা হাতে পেলে তবেই ছেলেটিকে ছাড়া হবে।

বিস্মিত এবং আতঙ্কিত ওই পরিবার এর পর যোগাযোগ করে বহরমপুর থানার পুলিশের সঙ্গে। পাশাপাশি জামাইয়ের নির্দেশ মতো পরিবারের কয়েক জন বহরমপুর বাসস্ট্যান্ড সংলগ্ন এলাকায় যান। বাসস্ট্যান্ড সংলগ্ন একটি হোটেলে ঢোকেন তাঁরা। পিছু পিছু গিয়েছিল পুলিশের একটি দল। এর পর হোটেলের ঘর থেকে নাবালককে সংজ্ঞাহীন অবস্থায় উদ্ধার করা হয়। পাকড়াও করা হয় নকুল নামে এক ব্যক্তিকে। তিনি সম্পর্কে নাবালকের জামাইবাবু।

Advertisement

বালকের পরিবার সূত্রে খবর, বর্তমানে মুর্শিদাবাদ মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছে সে। অন্য দিকে, অপহরণের অভিযোগে জামাইকে বহরমপুর থানার পুলিশ আটক করে। জিজ্ঞাসাবাদের পর তাঁকে গ্রেফতার করা হয়েছে। কী কারণে নাবালককে তিনি অপহরণ করেছিলেন, তাঁর সঙ্গে আর কেউ জড়িত ছিলেন কি না, এ সব খতিয়ে দেখা হচ্ছে। এর পিছনে কোনও পারিবারিক শত্রুতা রয়েছে কি না, সেটাও দেখা হচ্ছে বলে জানিয়েছে পুলিশ।

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement
Advertisement