বিক্ষোভের মুখে বিএসএনএল কর্তা

পরিষেবা না পেয়ে বিএসএনএল এক কর্তার সামনে বিক্ষোভ দেখালেন গ্রাহকেরা। বুধবার বিএসএনএলের বেলডাঙা দফতরের ঘটনা। এ দিন গ্রাহকদের একাংশ বিএসএনএলের সাব-ডিভিশন ইঞ্জিনিয়র বিশ্বনাথ মণ্ডলকে সামনে পেয়ে ক্ষোভে উগরে দেন।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

বেলডাঙা শেষ আপডেট: ০৯ ফেব্রুয়ারি ২০১৭ ০২:৪০
Share:

পরিষেবা না পেয়ে বিএসএনএল এক কর্তার সামনে বিক্ষোভ দেখালেন গ্রাহকেরা। বুধবার বিএসএনএলের বেলডাঙা দফতরের ঘটনা। এ দিন গ্রাহকদের একাংশ বিএসএনএলের সাব-ডিভিশন ইঞ্জিনিয়র বিশ্বনাথ মণ্ডলকে সামনে পেয়ে ক্ষোভে উগরে দেন। বিএসএনএল বিল মুকুব করার আশ্বাস দিলে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আসে। তবে বিশ্বনাথ এ নিয়ে মুখ খুলতে রাজি হননি।

Advertisement

টানা তিন সপ্তাহেরও বেশি সময় ধরে ব্যাহত বিএসএনএলের মোবাইল, ল্যান্ডলাইন ও ইন্টারনেট পরিষেবা। দিনের পর দিন বেলডাঙার ১৩ নম্বর ওয়ার্ডের কয়েক হাজার গ্রাহক পরিষেবা না পেয়ে নাকাল হচ্ছেন। এ নিয়ে বিএসএনএলের বেলডাঙা দফতরে অভিযোগও জমা পড়েছে। কিন্তু কাজ কিছুই হয়নি। তাই গ্রাহকেরা ক্ষোভে ফেটে পড়েন। তবে বিএসএনএল জানিয়েছে, এ ক’দিনের বিল যাতে মুকুব করা হয় সেই
ব্যবস্থা করবে।

বিএসএনএল সূত্রে জানা গিয়েছে, দিন পঁচিশ আগে বেলডাঙা মণ্ডপতলা ও হাজরাপাড়া মোড় লাগোয়া কয়েকশো মিটার রাস্তা খোঁড়াখুঁড়ি করে এক বেসরকারি সংস্থা। তারা ‘ফোর জি’ কানেকশন দেওয়ার জন্য পুরসভার অনুমতি নিয়ে ওই রাস্তা খোঁড়ে। পুরো রাস্তা খুঁড়ে ওই কাজ করতে গিয়ে মাটির তলা দিয়ে যাওয়া বিএসএনএলের অপটিক্যাল কেবল ক্ষতিগ্রস্ত হয়। তাতেই ওই বিপত্তি। ওই ঘটনায় বিএসএনএল ওই সংস্থার বিরুদ্ধে থানায় অভিযোগও করে।

Advertisement

বেলডাঙার পুরপ্রধান ভরত ঝাওর ‘‘আমরা ওই সংস্থার টাকা জমা রেখে গর্ত করার জন্য ছাড়পত্র দিয়েছিলাম। তারা না এলে সেই টাকায় মেরামতির কাজ করব।’’ বিএসএনএলের জানিয়েছে, ওই সংস্থা ১৩ ফেব্রুয়ারি মধ্যে ‘কেবল’ মেরামত করে দেবে বলে জানিয়েছে। তবে এ ব্যাপারে ওই বেসরকারি সংস্থার থেকে কোনও
প্রতিক্রিয়া মেলেনি।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন