Nadia

‘খেতে পাই না, খাওয়াব কী’! শিশুকে অন্যের হাতে তুলে দিলেন বাবা, মা, উদ্ধার করল চাইল্ড লাইন

রানাঘাট থানা এলাকার তারাপুর পঞ্চায়েতের বাসিন্দা তাপস বিশ্বাসের বিরুদ্ধে ‘অবৈধ’ ভাবে বাচ্চা দত্তক নেওয়ার অভিযোগ উঠেছে।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

হাঁসখালি শেষ আপডেট: ২০ জানুয়ারি ২০২৩ ২৩:২৯
Share:

সদ্যোজাতকে উদ্ধার করলেন নদিয়ার চাইল্ড লাইনের কর্মীরা। নিজস্ব চিত্র।

খাওয়ানো-পরানোর ক্ষমতা নেই। অভাবের কারণে কন্যাসন্তানকে অন্য দম্পতির হাতে তুলে দিয়েছেন বাবা, মা। গোপন সূত্র মারফত খবর পেয়ে পুলিশের সাহায্য নিয়ে সেই সদ্যোজাতকে উদ্ধার করলেন নদিয়ার চাইল্ড লাইনের কর্মীরা। চাইল্ড লাইন সূত্রে খবর, ওই শিশুকন্যাকে আপাতত হোমে রাখার ব্যবস্থা করা হয়েছে।

Advertisement

শুক্রবার হাঁসখালি থানা এলাকার এই ঘটনায় ইতিমধ্যেই একটি অভিযোগ দায়ের হয়েছে। রানাঘাট পুলিশ জেলার সুপার কে কন্নন বলেন, ‘‘চাইল্ড লাইনের পক্ষ থেকে একটা অভিযোগ পেয়েছি। বিষয়টি তদন্ত করে দেখা হচ্ছে।’’

রানাঘাট থানা এলাকার তারাপুর পঞ্চায়েতের বাসিন্দা তাপস বিশ্বাসের বিরুদ্ধে ‘অবৈধ’ ভাবে বাচ্চা দত্তক নেওয়ার অভিযোগ উঠেছে। স্থানীয় সূত্রে খবর, দিন সাতেক আগে তাপসের হাতে নিজের সদ্যোজাতকে তুলে দিয়েছেন বাবা রঘুনাথ সরকার। চাইল্ড লাইন সূত্রে জানা গিয়েছে, সেই খবর পেয়েই রানাঘাট থানায় যোগাযোগ করে চাইল্ড লাইন। এর পর পুলিশকে সঙ্গে নিয়েই তাপসের বাড়িতে হানা দেওয়া হয়।

Advertisement

চাইল্ড সূত্রের দাবি, তাপস কোনও বৈধ কাগজপত্র দেখাতে না পারায় সেখান থেকে নিয়ে আসা হয়েছে শিশুকন্যাকে। স্বাস্থ্য পরীক্ষার জন্য তাকে হাসপাতালেও নিয়ে যাওয়া হয়েছে। তবে সদ্যোজাতের হাতবদলের পিছনে আর্থিক লেনদেন রয়েছে কি না, তা এখনও স্পষ্ট নয়। চাইল্ড লাইনের কর্মী সলেমান শেখ বলেন, ‘‘আমরা অভিযোগ পেয়েছিলাম, সদ্যোজাত এক শিশুকন্যাকে অবৈধ ভাবে অন্যের হাতে তুলে দেওয়া হয়েছে। পুলিশের সহযোগিতায় তাকে আজ উদ্ধার করা হয়েছে। আইন অনুযায়ী পরবর্তী পদক্ষেপ করা হবে।’’

তাপসের বক্তব্য, ‘‘রঘুনাথ সরকার আমার পরিচিত। তাঁর আরও তিন সন্তান রয়েছে। আমি নিঃসন্তান। এই মেয়েটি হওয়ার পর আমায় দিতে চেয়েছিল। তাই নিয়েছি।’’ বাবা রঘুনাথ বলেন, ‘‘নিজেরা খেতে পাই না। বাচ্চাকে কী খেতে দেব। তাই, অন্যের হাতে তুলে দিয়েছি।’’

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন