ছানবিন: বৃহস্পতিবার রাতে। নিজস্ব চিত্র
চিনা মাদক-কাণ্ডে বহরমপুরের দু’টি ফ্ল্যাটে তল্লাশি চালাল সিআইডি। বৃহস্পতিবার সন্ধ্যা থেকে প্রায় ছ’ঘণ্টা ধরে তল্লাশিতে দু’টি ফ্ল্যাট থেকে বেশ কিছু নথি বাজেয়াপ্ত করেছেন সিআইডি’র গোয়েন্দারা। পুলিশের একটি সূত্রে খবর, বাজেয়াপ্ত নথির মধ্যে রয়েছে একটি ছোট ডায়েরি, জমি লিজ সংক্রান্ত দলিল। তবে তল্লাশিতে কী কী উদ্ধার হয়েছে, তা নিয়ে কিছু জানাতে চায়নি সিআইডি।
মাদক-কাণ্ডে অভিযুক্ত তুষার অগ্রবাল ও দাদ্দু বর্মা বহরমপুরের কাদাই এলাকার দু’টি ফ্ল্যাটে ভাড়া থাকত। তুষার মাকে নিয়ে থাকত একটি ফ্ল্যাটে। সেখান থেকে পাঁচশো মিটার দূরে দ্বিতীয় ফ্ল্যাটটিতে স্ত্রী এবং ছেলে-মেয়েদের নিয়ে থাকত দাদ্দু। শুক্রবার সন্ধ্যায় সিআইডি’র গোয়েন্দারা প্রথমে তুষারের ফ্ল্যাটে যান। সেখানে তল্লাশিতে ওই ডায়েরি এবং লিজের দলিল পান তাঁরা। ডায়েরিতে বেশ কিছু ফোন নম্বর লেখা ছিল। সূত্রের খবর, যে দলিলটি পাওয়া গিয়েছে, সেটি নওদার একটি চারকোল কারখানার জমির। দলিলে রয়েছে, একাধিক ব্যক্তির কাছ থেকে দু’বিঘা জমি লিজ নিয়ে ইটভাটা তৈরি করেছিল নওদার এক বাসিন্দা। তিনি পরে ওই ইটভাটা দু’জনকে লিজে দেন। ওই ইটভাটা যাঁদের লিজে দেওয়া হয়েছিল, তাঁদের বাড়ি নেপালে বলে অনুমান তদন্তকারীদের।
শুক্রবার বিকেলে নওদার ওই কারখানা ঘুরে দেখেছেন সিআইডি’র তদন্তকারীরা। তাঁদের সঙ্গে ছিল নওদা থানার পুলিশ। প্রায় একঘণ্টা ধরে কারখানার বিভিন্ন এলাকা ঘুরে দেখার পর তদন্তকারীরা বহরমপুরে ফিরে যান। প্রসঙ্গত, গত ২৯ জুন কলকাতা স্টেশন থেকে প্রায় ২০০ কিলোগ্রাম মাদক-সহ পাঁচ চিনা নাগরিককে গ্রেফতার করেছিল সিআইডি। তদন্তে মাদকচক্রের সঙ্গে মুর্শিদাবাদের যোগ মেলে।