দুলাল হত্যায় চার্জশিট

সোমবার রানাঘাট আদালতে চার পাতার যে চার্জশিট জমা দেওয়া হয় তাতে ২০ জনকে সাক্ষী করা হয়েছে। খুনের কারণ হিসেবে মূলত পুরনো রাজনৈতিক শত্রুতা এবং ব্যক্তিগত আক্রোশের কথা বলা হয়েছে। যদিও সেই রাজনৈতিক শত্রুতার বিস্তারিত ব্যাখ্যা চার্জশিটে নেই বলে সিআইডি সূত্রের খবর।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

কৃষ্ণনগর শেষ আপডেট: ১১ জুলাই ২০১৭ ০১:৪২
Share:

ধৃত: আদালতের পথে দুলাল বিশ্বাস খুনে ধৃতেরা। ফাইল চিত্র।

দুলাল বিশ্বাস খুনের ৮৪ দিন পর আদালতে চার্জশিট জমা দিল সিআইডি। এফআইআর-এ যে ১৩ জনের নাম ছিল, তা বাদে মাত্র একটি নাম যোগ করা হয়েছে। অবশ্য লিখিত অভিযোগের বাইরে কাউকে তারা এত দিনে গ্রেফতারও করতে পারেনি। অর্থাৎ, তদন্তভার নিয়েও খুব বেশি দূর তারা এগোতে পারেনি।

Advertisement

সোমবার রানাঘাট আদালতে চার পাতার যে চার্জশিট জমা দেওয়া হয় তাতে ২০ জনকে সাক্ষী করা হয়েছে। খুনের কারণ হিসেবে মূলত পুরনো রাজনৈতিক শত্রুতা এবং ব্যক্তিগত আক্রোশের কথা বলা হয়েছে। যদিও সেই রাজনৈতিক শত্রুতার বিস্তারিত ব্যাখ্যা চার্জশিটে নেই বলে সিআইডি সূত্রের খবর। অতিরিক্ত চার্জশিট জমা দেওয়ার রাস্তা অবশ্য তাদের সামনে এখনও খোলা রয়েছে।

১৬ এপ্রিল রাত ৮টা নাগাদ বগুলা বাজারে দলীয় কার্যালয়ে খুন হন তৃণমূলের হাঁসখালি ব্লক সভাপতি তথা বগুলা-১ গ্রাম পঞ্চায়েত সদস্য দুলাল বিশ্বাস। ওই দিন রাতেই তাঁর ছেলে বাপ্পা বিশ্বাস ১৩ জনের বিরুদ্ধে অভিযোগ দায়ের করেন। দু’দিনের মধ্যে পাঁচ জনকে গ্রেফতার করে হাঁসখালি থানার পুলিশ। তার পরেই তদন্তভার যায় সিআইডি-র হাতে। এর পরে বহু দিন তারা প্রায় কিছুই করতে পারেনি। কিছু দিন আগে প্রশাসনিক বৈঠকে নদিয়ায় এসে সিআইডি-র ভূমিকা নিয়ে অসন্তোষ প্রকাশ করেছিলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। চাপে পড়ে সুকুমার বিশ্বাস নামে তৃণমূলেরই এক জনকে ধরে সিআইডি। পরে বাপ্পা সেনগুপ্ত নামে আর এক জনকে গ্রেফতার করে তারা। গোড়ায় পুলিশ যে পাঁচ জনকে গ্রেফতার করেছিল, তাঁরা সকলেই তৃণমূলের সক্রিয় নেতা-কর্মী বলেই পরিচিত। এর মধ্যে বগুলা ১ গ্রাম পঞ্চায়েতের প্রাক্তন প্রধান বিমল বিশ্বাসও আছেন। তৃণমূলেরই একটা অংশের দাবি, চার্জশিটে প্রকৃত খুনিদের নাম নেই। তাঁরা প্রভাবশালী। সিপিএম জেলা কমিটির সদস্য সুপ্রতীপ রায়ও দাবি করেন, “অপরাধী আড়াল করছে সিআইডি।”

Advertisement
(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন