কলেজে ভাঙচুর: নিজস্ব চিত্র
সংগঠনের প্রতিষ্ঠা দিবসের অনুষ্ঠানে যোগ দিতে তৃণমূল ছাত্রপরিষদের সমর্থকদের একাংশ চেয়েছিলেন কলকাতা পাড়ি দিতে। মত ছিল না অন্য পক্ষের। আর তা নিয়েই বুধবার দুুপুরে দু’পক্ষের ধুন্ধুমার বাধল কান্দির বিমলচন্দ্র আইন কলেজের চত্বরে।
ওই ঘটনায় দু’পক্ষের পাঁচ জন জখম হয়েছেন। তাঁদের কান্দি মহকুমা হাসপাতালে প্রাথমিক চিকিৎসার পরে অবশ্য ছেড়ে দেওয়া হয়েছে। কলেজের অধ্যক্ষ সুস্মিতা নাগ বলেন, “বিষয়টি ছাত্রদের আভ্যন্তরীণ বিষয়, বিশে, কিছু বলতে পারব না। তবে ঘটনাটা শুনেছি। এ ব্যাপারে কলেজ কর্তৃপক্ষ কোনও ভাবেই জড়িত নয়। যা করার পুলিশ করবে।”
তৃণমূল ছাত্রপরিষদের প্রতিষ্ঠা দিবস উদযাপন অনুষ্ঠান উপলক্ষে গত ২৮ অগস্ট কলকাতায় যেতে চেয়েছিল কলেজের তৃতীয় বর্ষের বেশ কয়েক জন ছাত্র। কিন্তু ওই অনুষ্ঠানে কলেজের কারা যাবে, নামের সেই তালিকা তৈরি করে চতুর্থ বর্ষের ছাত্রেরা। দেখা যায়, ওই তালিকায় দ্বিতীয় ও তৃতীয় বর্ষের ছাত্রদের তুলনায় চতুর্থ বর্ষের ছাত্রদের সংখ্যা বেশি রয়েছে। তা নিয়েই তৃতীয় বর্ষের ছাত্রেরা আপত্তি জানান। কলেজে সূত্রে জানা গিয়েছে, এ দিন কলেজে তৃতীয় বর্ষের এক দল ছাত্র তাঁদের অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ শুরু করেন। তা নিয়ে দু’পক্ষের মধ্যে বচসা বেধে যায়। বচসা গড়ায় হাতাহাতিতে। অভিযোগ, চতুর্থ বর্ষের সৌভিক দাসের মাথা ফেটে যায় এবং বিক্রম প্রামাণিক নামে এক জন ছাত্রের হাতে আঘাত লাগে। একই ভাবে তৃতীয় বর্ষের বশির শেখের কপাল ফেটে যায়। সৌভিক বলেন, ‘‘বশির ও তার দলবল আমাদের লক্ষ্য করে কটুক্তি করে। বিষয়টি মানতে পারিনি। প্রতিবাদ জানাতেই তারা মারধর শুরু করে।’’ বশির পাল্টা বলেন, ‘‘ওরা আমাদের উপরে চড়াও হয়েছিল আগে।’’ কান্দি মহকুমা তৃণমূল ছাত্রপরিষদের সভাপতি জয়দেব ঘটক বলছেন, ‘‘এ দিন কলেজের মধ্যে যে ঘটনা ঘটেছে, তা কাম্য নয়। তবে, দু’পক্ষকে নিয়ে আলোচনায় বসে মীমাংসা সূত্র খোঁজা হয়েছে যাতে এই ঘটনার পুনরাবৃত্তি না হয়।’’