Mahua Maitra

Mahua Moitra: তোলাবাজি? প্রয়োজনে আমার অফিসে অভিযোগ জানান! মমতার পর এ বার বার্তা সাংসদ মহুয়ার

তৃণমূল সাংসদ লিখেছেন, ‘মুখ্যমন্ত্রী বার বার বলছেন যে দলকে সামনে রেখে কোনও রকমের তোলাবাজি করা যাবে না—চাকরি দেওয়ার নাম করে, টেট প্যানেল-এ নথিভুক্ত করার নাম করে, সরকারি কাজ করিয়ে দেওয়ার নাম করে কেউ যদি মানুষকে প্রতারণা করে তবে, নির্ভয়ে এখুনি পুলিশ বা আমার অফিস এ লিখিত অভিযোগ করুন।’ 

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

শেষ আপডেট: ২৮ এপ্রিল ২০২২ ১১:২৫
Share:

মহুয়ার বার্তা, ‘ভয় পাবেন না। চোর, প্রতারককে ভয় করার কোনও কারণ নেই। ফাইল ছবি

বুধবারই প্রশাসনিক বৈঠকে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় কড়া বার্তা দিয়ে জানিয়ে দিয়েছেন, যত বড় রাজনৈতিক নেতাই হন না কেন, দুর্নীতিতে নাম জড়ালে কাউকে রেয়াত করা হবে না। পুলিশকে নির্দেশ দিয়েছেন, অভিযোগ এলে যে দলের যত বড়ই নেতা হন না কেন, তাঁর বিরুদ্ধে কড়া পদক্ষেপ করতে হবে। মুখ্যমন্ত্রীর এই ভার্চুয়াল বৈঠকের কয়েক ঘণ্টার মধ্যেই কৃষ্ণনগরের সাংসদ মহুয়া মৈত্র ফেসবুক পোস্ট করে সেই বার্তা তুলে ধরলেন। লিখলেন, অভিযোগ থাকলে নির্ভয়ে পুলিশে বা তাঁর অফিসে এসে অভিযোগ জানাতে।

তৃণমূল সাংসদ লিখেছেন, ‘মুখ্যমন্ত্রী বার বার বলছেন যে দলকে সামনে রেখে কোনও রকমের তোলাবাজি করা যাবে না—চাকরি দেওয়ার নাম করে, টেট প্যানেল-এ নথিভুক্ত করার নাম করে, সরকারি কাজ করিয়ে দেওয়ার নাম করে কেউ যদি মানুষকে প্রতারণা করে তবে, নির্ভয়ে এখুনি পুলিশ বা আমার অফিস এ লিখিত অভিযোগ করুন।’

Advertisement

তাঁর বার্তা, ‘ভয় পাবেন না। চোর, প্রতারককে ভয় করার কোনও কারণ নেই। যতই প্রভাবশালী হন না কেন, এক দিন না এক দিন ধরা পড়বেনই—তাই দয়া করে এগিয়ে আসুন, চলুন এই চক্রগুলিকে বন্ধ করি।’

প্রসঙ্গত, সম্প্রতি কৃষ্ণনগর লোকসভা কেন্দ্রের অন্তর্গত তেহট্ট বিধানসভা কেন্দ্রের বিধায়ক তাপসকুমার সাহার বিরুদ্ধে চাকরি দেওয়ার নাম করে কয়েক কোটি টাকা প্রতারণার অভিযোগ সামনে এসেছে। যা নিয়ে দল যথেষ্ট ‘অস্বস্তি’তে। তৃণমূল সূত্রে খবর, প্রশাসনের পাশাপাশি দলও আলাদা করে তদন্ত করছে। স্থানীয় মহকুমা পুলিশ আধিকারিকের দফতরে ইতিমধ্যেই প্রতারিতদের ডেকে বয়ান রেকর্ড করার প্রক্রিয়া শুরু হয়েছে। এর মধ্যেই সাংসদ মহুয়ার ফেসবুকে লেখা বার্তাটি যথেষ্ট ‘তাৎপর্যপূর্ণ’।
মহুয়ার এই ফেসবুক পোস্টের প্রতিক্রিয়ায় নদিয়া উত্তর সাংগঠনিক জেলা বিজেপির সভাপতি অর্জুন বিশ্বাস বলেন, ‘‘তেহট্ট বিধানসভার বিধায়কের যে দুর্নীতির খবর প্রকাশ্যে এসেছে, তা হিমশৈলের চূড়া মাত্র। তদন্ত করলে আরও কয়েক কোটি টাকার দুর্নীতি প্রকাশিত হবে। মহুয়া মৈত্রের যদি সদিচ্ছা থাকে, তবে তাপস সাহাকে জেলে ভরে তদন্তপ্রক্রিয়া শুরু করুন, যাতে সাক্ষ্য প্রভাবিত না হয়।’’

Advertisement

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement
Advertisement