সেই পুকুর। —নিজস্ব চিত্র
পুকুর সংস্কার নিয়ে ঝামেলায় জড়িয়ে পড়ল শাসকদলের গ্রাম পঞ্চায়েতের দুই সদস্য। বুধবার সন্ধ্যার ঘটনা। তাতে বিবাদমান দু’জনই স্বল্প আঘাত পেয়েছেন। প্রাথমিক চিকিৎসার পর ছাড়া পেয়েছেন দু’জনই। মাড্ডা গ্রামের ওই ঘটনায় দুই তরফেই পুলিশের কাছে নালিশ জমা পড়েছে।
বেলডাঙার মাড্ডা গ্রামের একটি পুকুর কয়েক কয়েক আগে কেনেন পাশের জানকিনগর গ্রামের মাসুদ মল্লিক। স্থানীয় মাড্ডা পঞ্চায়েত মাস দেড়েক আগে ১০০ দিনের প্রকল্পে মাটি কেটে পুকুরটির সংস্কার শুরু করে। কিন্তু দিন চারেক আগে পুকুর পাড়ে দোকান বানানোর জন্য মাপজোক শুরু করেন মালিক। অভিযোগ, মাসুদ মল্লিক ১০০ দিনের কাজের শ্রমিকদের সাহায্য নিয়ে জমির মাপজোক করাচ্ছিলেন। বিষয়টিতে বাধা দেন স্থানীয় পঞ্চায়েত সদস্য তৃণমূলের মুক্তিময় বিশ্বাস। কিন্তু গ্রামে রটে যায় মুক্তিময় বিশ্বাসের যোগসাজসেই পুকুরের এক দিকে দোকান ঘর তৈরি হচ্ছে। ফলে লোকজন পুকুরটি ব্যবহার করতে পারবেন না। পুকুরের মালিক মাসুদ মল্লিকের অভিযোগ, স্থানীয় পঞ্চায়েতের তৃণমূল সদস্য রথীন মণ্ডল নিজের দলেরই সদস্য মুক্তিময়বাবুর বিরুদ্ধে এই মিথ্যা প্রচার করছেন। এ নিয়ে ঝামেলার জেরে মাসুদ মল্লিক রেগেমেগে রথীন মণ্ডলকে চড় মার। এ দিকে গ্রামে খরব ছড়িয়ে পরে মুক্তিময় বিশ্বাসের জন্যই রথীন মার খেয়েছে। লোকজন মুক্তিময়বাবুর বাড়িতে ভাঙচুর চালায়। মার খান মুক্তিময়বাবুও।
বেলডাঙা ১ ব্লক (উত্তর) তৃণমূল সভাপতি বনতোষ ঘোষ বলেন, ‘‘ভুল বোঝাবুঝি থেকেই এই বিবাদ। ওই দুই নেতাকে ডেকে ঝামেলা মিটিয়ে নেওয়ার নির্দেশ দেওয়া হবে।’’ বেলডাঙা-১ ব্লকের বিডিও শুভ্রাংশু মণ্ডল বলেন, ‘‘বিষয়টি পুলিশ দেখছে।’’