Congress

পুরনো গড়ে কংগ্রেসের প্রভাব ফিরছে

২০১৯সালের লোকসভা ভোটে ওই কেন্দ্রে তৃণমূলের অপূর্ব সরকারের থেকে কংগ্রেসের অধীর চৌধুরী প্রায় চার হাজার ভোট বেশি পান।

Advertisement

কৌশিক সাহা

শেষ আপডেট: ২৩ ডিসেম্বর ২০২০ ০৩:৫৬
Share:

প্রতীকী ছবি।

বামফ্রন্টের শরিক আরএসপি দূর্গ বলেই পরিচিত ছিল বড়ঞা বিধানসভা কেন্দ্র। ওই কেন্দ্র থেকে একাধিকবার অমলেন্দুলাল রায় ও দেবব্রত বন্দ্যোপাধ্যায় জয়ী হয়ে রাজ্যের সেচ মন্ত্রী ছিলেন। কিন্তু তারপরেও ওই কেন্দ্রের বুক চিড়ে বয়ে যাওয়া ময়ূরাক্ষী নদী দিয়ে অনেক জল গড়িয়েছে। ২০১৬ সালে রাজ্য জুড়ে বাম বিরোধী হাওয়াতে কংগ্রেস ও তৃণমূলের জোট প্রার্থী কংগ্রেসের প্রতিমা রজক ওই আসনে সামান্য মার্জিনে আরএসপির দখলে থাকা বড়ঞা কেন্দ্রটি ছিনিয়ে নেয়। ২০১৬ সালে বামেদের সঙ্গে কংগ্ররেসের জোট হওয়ার পরেও ওই কেন্দ্রে বাম ও কংগ্রেসের পৃথক প্রার্থী দেওয়া হলেও ওই কেন্দ্রের সাধারণ মানুষ কংগ্রেসের প্রতিমার উপর নির্ভর করেন। ২০১৬ সালের বিধানসভা ভোটের আগে থেকেই ওই কেন্দ্রের কংগ্রেস নেতৃত্বরা একে একে কংগ্রেস ছেড়ে শাসক দল তৃণমূলে যোগ দিতে শুরু করে। কিন্তু তারপরেও কংগ্রেস ওই আসনটি ধরে রাখতে সক্ষম হয়েছিল। কিন্তু তারপর থেকে ভোটের ময়দানে দেখা হয়েছে ’১৯এর লোকসভা। তার আগে একাধিক সমবায়, স্কুলের পরিচারন সমিতির ভোটে বিনা প্রতিদ্বন্দ্বীতায় জয়ী হয় তৃণমূল। একই ভাবে ২০১৮ সালের পঞ্চায়েত ভোটেও শাসক দল বিরোধীদের মনোনয়ন জমা দিতে না দেওয়ায় ভোট হয়নি। কিন্তু তারপরেও থেমে থাকেনি কংগ্রেস নেতৃত্ব। এরই মধ্যে ফের বিপর্যয় ঘটে কংগ্রেসের। দলের ব্লক নেতৃত্বরা ফের তৃণমূলে যোগ দেয়। কিন্তু ২০১৯সালের লোকসভা ভোটে ওই কেন্দ্রে তৃণমূলের অপূর্ব সরকারের থেকে কংগ্রেসের অধীর চৌধুরী প্রায় চার হাজার ভোট বেশি পান। তাতে তৃণমূল নেতৃত্বদের কপালে ভাঁজ পড়ে। কিন্তু তারমধ্যেই দলের গোষ্ঠী দ্বন্দ্ব নতুন করে মাথা চাড়া দিয়ে উঠেছে, বলছেন দলের এক প্রথম সারির নেতা। তবে ওই ব্লকের তৃণমূলের সভাপতি গোলাম মুর্শিদ বলেন, “দলের মধ্যে কোন দ্বন্দ্ব নেই।” যদিও বিধায়ক প্রতিমা রজক বলেন, “আমি মানুষের সমর্থনে কংগ্রেসের প্রতীকে জয়ী হয়েছি। ফলে অর্থের লোভে তৃণমূলে যেতে পারিনি। সেটা এলাকার মানুষের অজানা নয়।’’ তবে এখানে বিজেপির সভায়ও ভিড় হচ্ছে।

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement
Advertisement