এই পার্কে ঢুকতে গেলে টিকিট ১০০ টাকা!

শহরবাসীর দাবি, সতেজ হাওয়ার জন্য ১০০ টাকার টিকিট একটু বাড়াবাড়ি। স্থানীয় সূত্রের খবর, পার্কে ভিড় করেন তরুণ-তরুণীরাই। গয়েশপুরের ওই জুবিলি পার্কটি পুরসভার হলেও তা বহু বছরের জন্য লিজ দেওয়া হয়েছে জুবিলি পার্ক অ্যান্ড রিসর্ট প্রাইভেট লিমিটেড কোম্পানিকে।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

গয়েশপুর শেষ আপডেট: ০৪ মার্চ ২০১৯ ০৭:০০
Share:

এই সেই পার্ক। নিজস্ব চিত্র

শহরের মধ্যে বলতে গেলে একটাই পার্ক। কিন্তু স্টেডিয়ামের পাশে সেই জুবিলি পার্কে যেন জনগণের প্রবেশ নিষেধ। কারণ, পুরসভার ওই পার্কে ঢুকতে গেলে মাথাপিছু খরচ পড়ে ১০০ টাকা। আর এত টাকা খরচ করে সবুজে ঘেরা পার্কে ঢুকতে অনীহা লোকজনের।

Advertisement

শহরবাসীর দাবি, সতেজ হাওয়ার জন্য ১০০ টাকার টিকিট একটু বাড়াবাড়ি। স্থানীয় সূত্রের খবর, পার্কে ভিড় করেন তরুণ-তরুণীরাই। গয়েশপুরের ওই জুবিলি পার্কটি পুরসভার হলেও তা বহু বছরের জন্য লিজ দেওয়া হয়েছে জুবিলি পার্ক অ্যান্ড রিসর্ট প্রাইভেট লিমিটেড কোম্পানিকে। ওই সংস্থা বছরে প্রায় ছ’লক্ষ টাকায় লিজ পেয়ে নিজের মতো করে পার্ক পরিচালনা করছেন। সাধারণ মানুষের জন্য কোনও সুবিধা তাঁরা দিচ্ছেন না। পাশের শহর কল্যাণীতে রয়েছে লেক পার্ক, পিকনিক গার্ডেন। একেবারে সাজানো গোছানো লেক পার্কে ঢুকতে গেলে সামান্য টাকা লাগে। এমনকি, বেথুয়াডহরি অভয়ারণ্যেও প্রবেশমূল্য সামান্য। ফলে গয়েশপুরের বাসিন্দাদের প্রশ্ন, প্রবেশমূল্য সাধারণের ধরাছোঁয়ার বাইরে করার মতো কী এমন পরিষেবা মেলে ওই পার্কে?

এলাকার লোকজনের বক্তব্য, পাশের শহর কল্যাণীতে প্রায় প্রতি ওয়ার্ডেই রয়েছে পার্ক। সেন্ট্রাল পার্ক, যেখানে পুষ্প মেলা হয়, সেই জায়গাটা সুন্দর করে সাজানো হয়েছে। আরও বেশ কয়েকটি ওয়ার্ডে রয়েছে সাজানো গোছানো একাধিক পার্ক। সকাল সন্ধ্যা সেখানে লোকজন নিখরচায় ঢুকে হাঁটাচলা করেন, গল্পগুজব করেন। পুরসভা নাগরিকদের জন্য এ ব্যবস্থা করে দিয়েছে। কিন্তু গয়েশপুরের একমাত্র ভাল পার্কটি পুর কর্তৃপক্ষ ও পার্ক পরিচালনার দায়িত্বে থাকা সংস্থা সাধারণ মানুষের নাগালের বাইরে রেখেছেন।

Advertisement

স্থানীয় বাসিন্দারা পার্কের প্রবেশমূল্য কমানোর দাবি তুলেছেন। তৃণমূল পরিচালিত গয়েশপুর পুরসভার চেয়ারম্যান মরণকুমার দে বলেন, ‘‘ওই সংস্থার সঙ্গে কথা বলে প্রবেশমূল্য কমানোর বিষয়ে উদ্যোগী হব।’’ সংস্থার তরফে বান্টি নন্দী বলেন, ‘‘সন্ধ্যার পরেও পুরসভা পার্ক খোলার অনুমতি দিলে শহরবাসী যাতে আরও বেশি করে পার্কে ঢুকতে পারেন, সেই ব্যবস্থা করা হবে। খরচের বহর সামলানোর জন্য প্রবেশমূল্য ১০০ টাকা অনেকদিন ধরেই রয়েছে। কমানোর ব্যাপারে ভাবনা-চিন্তা করব।’’

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন