Corona

টিকা না নিয়ে আক্রান্ত ডাক্তার, টিকা নিয়েও আক্রান্ত চিকিৎসক, নার্সিং ছাত্রী

চিকিৎসকের আক্রান্ত হওয়ার খবরে স্বাস্থ্য দফতরে বেশ তোলপাড় শুরু হয়েছে। কারণ, জানা গিয়েছে ওই চিকিৎসক করোনার টিকা নেননি।

Advertisement

সুস্মিত হালদার

শেষ আপডেট: ২৪ মার্চ ২০২১ ০৬:০১
Share:

—প্রতীকী ছবি।

বেশ কিছু সময়ের বিরতির পরে জেলা হাসপাতালে করোনা সংক্রমণ দেখা গেল। আক্রান্ত হলেন সেখানকার এক চিকিৎসক। মঙ্গলবার বছর চৌষট্টির ওই ক্যানসার বিশেষজ্ঞ বা অঙ্কোলজিস্টের পজিটিভ রিপোর্ট আসে। তাঁকে হাসপাতালে না এসে ১৪ দিন হোম কোয়রান্টিনে থাকার কথা বলা হয়েছে।

Advertisement

চিকিৎসকের আক্রান্ত হওয়ার খবরে স্বাস্থ্য দফতরে বেশ তোলপাড় শুরু হয়েছে। কারণ, জানা গিয়েছে ওই চিকিৎসক করোনার টিকা নেননি। চিকিৎসকেরা প্রথম সারির করোনাযোদ্ধা হওয়ায় একেবারে প্রথম দফাতে তাঁদের নিখরচায় করোনা ভ্যাকসিন বা প্রতিষেধক দেওয়া হয়েছিল। কেন তখন ওই চিকিৎসক তা নেননি? তাঁর যুক্তি, ‘‘রোগীদের কেমোথেরাপিতে ব্যস্ত থাকায় আমি টিকা নেওয়ার সময় পাইনি!’’

জেলা হাসপাতালের আক্রান্ত চিকিৎসক যেমন রবিবার বিকেল পাঁচটা থেকে রাত ন’টা পর্যন্ত জরুরি বিভাগে ডিউটি করেছেন। গত শুক্রবার তিনি প্রায় ১৫ জনকে কেমোথেরাপিও দেন। সোমবার ডিউটি না-থাকায় তিনি হাসপাতালে আসেননি। মঙ্গলবার সকালে তাঁর আরটিপিসিআর রিপোর্ট পজিটিভ আসার পরই নড়েচড়ে বসেন হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ। এমনিতেই ক্যানসার রোগীদের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা কম থাকে। ফলে তাঁদের যে কোনও সংক্রমণের আশঙ্কা বেশি।

Advertisement

জেলা হাসপাতাল সূত্রের খবর, ওই চিকিৎসকের রিপোর্ট পজিটিভ আসার পর কে কে এখনও টিকা নেননি, সেই খোঁজ শুরু হয়েছে। কারা ওই চিকিৎসকের সংস্পর্শে এসেছেন তাঁদের চিহ্নিত করে তালিকা প্রস্তুত হচ্ছে। যদিও হাসপাতালের কর্মীদের একাংশের দাবি, মঙ্গলবার রাত পর্যন্ত তেমন ভাবে উদ্যোগী হননি কর্তৃপক্ষ।

হাসপাতালের সুপার সোমনাথ ভট্টাচার্য অবশ্য বলেন, “সকলকেই টিকা নেওয়ার জন্য অনুরোধ করেছি। যদি দু’-এক জন বাকি থেকে থাকেন তা হলে তাঁদের সঙ্গে আমরা আবারও যোগাযোগ করে টিকা নেওয়ার জন্য উৎসাহিত করব।”

আবার সম্পূর্ণ উল্টো ঘটনা ঘটেছে কল্যাণীতে। জেএনএম হাসপাতালে কমিউনিটি মেডিসিন বিভাগের এক চিকিৎসক ও নার্সিং স্কুলের প্রথম বর্ষের ৭ ছাত্রী করোনার প্রতিষেধক কোভিশিল্ডের দ্বিতীয় ডোজ নেওয়ার কুড়ি দিন পরে করোনা পজিটিভ হয়েছেন। তাঁদের চিকিৎসা চলছে। কল্যাণী মেডিক্যাল কলেজের অধ্যক্ষ সুমন রায় জানান, ‘‘পৃথিবীর কোনও ভ্যাকসিনই একশো শতাংশ নিরাপদ নয়। তবে ভ্যাকসিন নেওয়া থাকলে রোগের বাড়াবাড়ির আশঙ্কা থাকে না বললেই চলে।’’ ওই নার্সিং কলেজে প্রথম বর্ষের ছাত্রীদের মধ্যে মোট ১৪ জনের করোনা ধরা পড়েছে। তার মধ্যে ৭ জনের টিকা নেওয়া থাকলেও বাকি ৭ জনের এখনও টিকা নেওয়া হয়নি।

দীর্ঘ দিন পর নদিয়ায় করোনায় দৈনিক সংক্রমিতের সংখ্যা দুই সংখ্যা ছাড়িয়ে গেল মঙ্গলবার। এ দিন সকাল সাতটা পর্যন্ত এই জেলায় দৈনিক আক্রান্ত ১৫ জন। জেলায় ধীর গতিতে হলেও সংক্রমণের হার বাড়ছে।

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement
Advertisement