Coronavirus

করোনার ছায়া পড়ল আস্ত পরিবারেই

শনিবার ওই পরিবারটি ছাড়াও জেলায় আরও ৬ জনের করোনা আক্রান্ত হওয়ার খবর মিলেছে। আক্রান্তদের মধ্যে ১০ জনকে বহরমপুরে মাতৃসদন কোভিড হাসপাতালে ভর্তি করানো হয়েছে।

Advertisement

নিজস্ব প্রতিবেদন

শেষ আপডেট: ০৫ জুলাই ২০২০ ০৫:৩৬
Share:

প্রতীকী ছবি।

ভিন রাজ্য থেকে গ্রামে ফিরলেও তাঁদের অধিকাংশের কোভিড-পরীক্ষা কিংবা নিভৃতবাসের নিয়ম-বিধি যথাযথ ভাবে যে মানা হয়নি, গ্রামবাসীদের অভিযোগে সে কথা উঠে এসেছে বার বার। কিন্তু সুরাহা হয়নি। গাঁ-গঞ্জে তাই করোনার ছায়া ক্রমেই প্রলম্বিত হয়েছে। এ বার শমসেরগঞ্জে একই পরিবারের ৫ জন আক্রান্ত হওয়ায় গোষ্ঠী সংক্রমণের আশঙ্কা দেখা দিল। তবে স্বাস্থ্য দফতর সূত্রে জানানো হয়েছে, যে পরিবারে ওই ঘটনা ঘটেছে তাঁরা গ্রামের বাইরে না গেলেও তাঁদের মুদিখানায় পরিযায়ী শ্রমিকদের আনাগোনা ছিল অহরহ। সম্ভবত তা থেকেই পরিবারটিতে সংক্রমণ ঘটেছে।

Advertisement

শনিবার ওই পরিবারটি ছাড়াও জেলায় আরও ৬ জনের করোনা আক্রান্ত হওয়ার খবর মিলেছে। আক্রান্তদের মধ্যে ১০ জনকে বহরমপুরে মাতৃসদন কোভিড হাসপাতালে ভর্তি করানো হয়েছে। এক জন কলকাতার একটি সরকারি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন। অন্যদিকে, মাতৃসদন কোভিড হাসপাতালে করোনার উপসর্গ নিয়ে ভর্তি থাকা ফরাক্কার এক যুবকের শনিবার সকালে মৃত্যু হয়েছে। বছর ৩৪’র ওই যুবকের অবশ্য আগেই করোনা নেগেটিভ রিপোর্ট এসেছিল বলে জানা গিয়েছে। মুর্শিদাবাদ মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের সুপার শর্মিলা মল্লিক বলেন, ‘‘করোনার উপসর্গ নিয়ে ওই যুবক ভর্তি হয়েছিলেন। এ দিন তাঁর করোনা নেগেটিভ রিপোর্ট আসার পরে মুর্শিদাবাদ মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে স্থানান্তরিত করার তোড়জোড় শুরু হয়েছিল। তবে কিছুক্ষণের মধ্যেই মারা যান তিনি। ওই যুবক নিউমোনিয়ায় আক্রান্ত ছিলেন।’’ তবে, এদিন করোনা নিয়ে সবচেয়ে বেশি আতঙ্ক ছড়িয়েছে শমসেরগঞ্জের রতনপুরে একই পরিবারের ৫ জন এবং তাদের কর্মচারী করোনা পজ়িটিভ হওয়ায়। ধুলিয়ান শহরের ৫ নম্বর ওয়ার্ডে ওই পরিবারটির মুদিখানা। ১ জুলাই পরিবারের কর্তার কোভিজ পজ়িটিভ রিপোর্ট আসে। পরে বাড়ির সকলের লালারস পরীক্ষার পর জানা যায় সকলেরই করোনা পজ়িটিভ। আক্রান্ত হয়েছেন ওই দোকানের কর্মীও। স্বাস্থ্য দফতরের চিন্তা বাড়িয়েছে গত ৪ দিন সংক্রমণ নিয়ে তাঁরা ঘুরে বেরিয়েছে। তাঁদের দোকানেও অনেকেই যাতায়াত করেছেন। শমসেরগঞ্জ ব্লকে এ পর্যন্ত ১৫ জন করোনা আক্রান্ত হলেও একই পরিবারে ৬ জনের আক্রান্ত হওয়ার নজির নেই। সন্দেহ করা হচ্ছে দোকানে আসা খদ্দেরদের কারও কাছ থেকেই দোকান মালিকের এবং পরে তাঁর সংস্পর্শ থেকে পরিবারের অন্যদের সংক্রমণ ঘটেছে।

শমসেরগঞ্জের ব্লক স্বাস্থ্য আধিকারিক তারিফ হোসেন বলেন, ‘‘সতর্কতা ছাড়া এই ধরনের সংক্রমণ ঠেকানো খুব মুশকিল। শমসেরগঞ্জ অত্যন্ত ঘন বসতিপূর্ণ এলাকা। কিন্তু রাস্তাঘাটে অবাধে চলাচল করছে মানুষজন, মাস্ক ছাড়াই। মাঝে মধ্যে জমায়েতও চোখে পড়ছে।’’ তবে স্বাস্থ্য দফতরের পরিসংখ্যান কিঞ্চিৎ আশার আলো দেখাচ্ছে— এ পর্যন্ত জেলায় মোট ২৫৮ জন করোনা আক্রান্ত হলেও সুস্থ হয়ে গিয়েছেন ২১৩ জন।

Advertisement
(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন