corona virus

জেলায় আক্রান্ত আরও ৩

গত সোমবার তাঁরা  মোট আট জন মহারাষ্ট্র থেকে ফেরার পর স্থানীয় একটি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে ছিলেন। ওই দু’জনের সঙ্গে থাকা আরও  ৬ জন পরিযায়ী শ্রমিককে কৃষ্ণনগর সারি হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। 

Advertisement

নিজস্ব প্রতিবেদন

রানাঘাট শেষ আপডেট: ১৫ মে ২০২০ ০৩:৩৭
Share:

ফাইল চিত্র

চলতি সপ্তাহে একের পর এক করোনা-আক্রান্তের সন্ধান মিলছে নদিয়ায়।

Advertisement

ন’মাসের এক শিশু এবং এক পুলিশ কর্মীর পর এ বার গাংনাপুরে দু’জনের করোনা ধরা পড়েছে। ৩৫ এবং বছর ২৮ বয়েসের ওই দুই যুবককে কল্যাণী কোবিড হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। তাঁরা পরিযায়ী শ্রমিক। গত সোমবার রাতে একটি গাড়ি ভাড়া করে মহারাষ্ট্র থেকে বাড়ি ফিরেছেন। তাঁদের বাড়ি গাংনাপুর থানার খাসপুর এলাকায়। গত সোমবার তাঁরা মোট আট জন মহারাষ্ট্র থেকে ফেরার পর স্থানীয় একটি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে ছিলেন। ওই দু’জনের সঙ্গে থাকা আরও ৬ জন পরিযায়ী শ্রমিককে কৃষ্ণনগর সারি হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।

রানাঘাটের মহকুমাশাসক হরসিমরন সিংহ বলেন, “ওঁরা ‘সেল্ফ আইসোলেশনে’ ছিলেন। এলাকার কারও সঙ্গে মেলামেশা করেননি। দু’জনের রিপোর্ট পজিটিভ আসার পর সকলকে ওখান থেকে সরিয়ে নিয়ে যাওয়া হয়েছে। এলাকায় এখনই বিশেষ কোনও পদক্ষেপ করার মতো পরিস্থিতি হয়নি।” প্রাথমিক বিদ্যালয়টিকে জীবাণুমুক্ত করা হয়েছে।

Advertisement

এঁদের পাশাপাশি উত্তর ২৪ পরগনার ব্যারাকপুরের কোভিড হাসপাতালের এক নার্সও ভাইরাস- আক্রান্ত হয়েছেন। তিনি আদতে কল্যাণী থানা এলাকার গয়েশপুর পুরসভার বালিরমাঠ এলাকার বাসিন্দা। ব্যারাকপুরের ওই হাসপাতালটি কোভিড হাসপাতাল হিসেবে কাজ শুরু করার পর থেকেই তিনি সেখানে ডিউটিতে ছিলেন। তিনি অসুস্থ হয়ে পড়ায় ব্যারাকপুরের ওই হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ চলতি মাসের ১১ তারিখে তাঁর লালারসের নমুনা পরীক্ষার জন্য পাঠায়। বুধবার রিপোর্ট পজিটিভ আসে। তার পর থেকেই গয়েশপুরের বালিরমাঠ এলাকার আতঙ্ক ছড়ায়। এ দিন সকালেই পুরসভা ও স্বাস্থ্য দফতরের লোকজন সেখানে যান। আক্রান্তের বাবা, মা ও বোনকে জেএনএম হাসপাতালে নিয়ে আসা হয়। সেখানে তাঁদের লালারসের নমুনা সংগ্রহ করা হয়। রিপোর্ট আসা পর্যন্ত ঘরবন্দি থাকতে বলা হয়েছে।

গয়েশপুর পুরসভার চেয়ারম্যান তৃণমূলের মরণকুমার দে জানাচ্ছেন, ওই নার্স দিন পনেরো আগে কিছু ক্ষণের জন্য বাড়ি এসেছিলেন। তাঁর কথায়, ‘‘যতদূর জেনেছি, তিনি বাড়ির লোকের সঙ্গে দূরত্ব বজায় রেখেই কথা বলেছিলেন। তবুও পুরসভা কোনও ঝুঁকি নিতে নারাজ। তাই পরিবারের লোককে পরীক্ষা করানো হয়েছে। আপাতত ওই পরিবারের প্রয়োজনীয় সব জিনিস পুরসভা পৌঁছে দেবে।’’

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন