Coronavirus

বিধির মানাতেই বাঁধা গিয়েছে করোনা

জেলায় করোনার প্রকোপ অতিমারির চেহারা নেয়নি সে কারনেই বলে মনে করছেন মুখ্য স্বাস্থ্য আধিকারিক। জেলা স্বাস্থ্য দফতরের খবর, করোনা আক্রান্তদের প্রায় ৮৭ শতাংশকে হোম আইসোলেশনে এবং বাকিদের সেফ হোমে রাখা গিয়েছিল।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

বহরমপুর শেষ আপডেট: ১৭ সেপ্টেম্বর ২০২০ ০৩:২২
Share:

ফাইল চিত্র

কিছু নিয়ম মেনে নিলে সুদূরে তার ফল অপেক্ষা করে থাকে। কথাটা বোধহয় মুর্শিদাবাদ জেলায় কোভিড সংক্রমণ বেঁধে রাখার প্রশ্নে আরও একবার মনে করিয়ে দেওয়া গিয়েছে। মে মাসের মাঝামাঝি থেকে ভিন প্রদেশ ফেরত দলে দলে পরিযায়ী শ্রমিক জেলায় প্রত্যাবর্তনের পর তাঁদের এবং তাঁদের পরিবারের লোকজনকে পাখি পড়া করে বোঝাতে শুরু করেছিলেন স্বাস্থ্যকর্তারা। সঙ্গে আশাকর্মী এমনকি ব্লক স্তরের আধিকারিক— সকলেই আপ্ত বাক্যের মতো নিভৃতবাসের বার্তা দিয়ে চলায় তা এক সময় কাজে দিতেও শুরু করেছিল। যার ফল, এখন এক বুক স্বস্তি নেয় অনুভর করছে মুর্শিদাবাদ জেলা।

Advertisement

উপসর্গহীন কিংবা সামান্যতম উপসর্গের আঁচ পেলেই তাঁকে হোম আইসোলেশন কিংবা সেফ হোমের দুয়ার দেখানোয় করোনা যে অনেকটাই বেঁধে রাখা গিয়েছে এ জেলায় তা এখন স্পষ্ট হয়ে উঠেছে। গা ঘেঁষা গ্রাম, ছোটছোট বাড়ি, অপরিসর জায়গা— এ কথা মাথায় রেখে হোম আইসোলেশনের চেয়েও জেলায় জোর দেওয়া হয়েছিল কোয়রান্টিন সেন্টার এবং সেফ হোমের দিকে। মানুষ সাড়াও দিয়েছিলেন। দিনভর প্রচারের ফলে গ্রামের মানুষ প্রায় জোর করেই উপসর্গ দেখা দিলে পরিবারসমেত পাঠিয়েছিলেন সেফ হোমে। নচেৎ কোয়রান্টিনে। জেলায় করোনার প্রকোপ অতিমারির চেহারা নেয়নি সে কারনেই বলে মনে করছেন মুখ্য স্বাস্থ্য আধিকারিক। জেলা স্বাস্থ্য দফতরের খবর, করোনা আক্রান্তদের প্রায় ৮৭ শতাংশকে হোম আইসোলেশনে এবং বাকিদের সেফ হোমে রাখা গিয়েছিল বলেই সংক্রমণ তেমন লাগামছাড়া হয়নি। মুখ্য স্বাস্থ্য আধিকারিক প্রশান্ত বিশ্বাস বলেন, ‘‘হু-এর নিয়ম মেনেই হোম আইসোলেশন, সেফ হোমে বা করোনা হাসপতালে চিকিৎসা করা হয়েছে এ জেলায়। অধিকাংশ করোনা আক্রান্ত সু্স্থ হয়ে উঠছেন সেই নিয়ম মানায়।’’এক আধিকারিক বলেন, ‘‘পড়শি জেলাগুলি থেকে আমাদের জেলায় করোনা সংক্রমণ অনেকটাই কমেছে ওই নিয়ম প্রায় অক্ষরে অক্ষরে মেনে চলায়।’’ তবে, সে লড়াই এখনও যে শেষ হয়নি তা বহরমপুরে মাতৃসদন করোনা হাসপাতাল এবং জিয়াগঞ্জ লন্ডন মিশন করোনা হাসপাতালে পা রাখলেই বোঝা যায়। ওই দুই হাসপাতালে এখনও যে কোনও পরিস্থিতি সামাল দেওয়ার জন্য রয়েছে ৪০০টি শয্যা। এ ছাড়া আরও চারটি বেসরকারি হাসপাতালকে কোভিড হাসপাতাল হিসেবে অধিগ্রহণ করার জন্য চিহ্নিত করা হয়েছে। প্রয়োজন হলে সেখানেও চিকিৎসা হতে পারে কোভিডের। চালু রয়েছে ৭টি সেফ হোম। আরও অন্তত ৬০টি সেফ হোম চালু রাখার ব্যবস্থাও সম্পূর্ণ।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন