Coronavirus in West Bengal

চিকিৎসক আসেন সপ্তাহে শুধু এক দিন

করোনার ছায়া পড়েছে গাঁয়ের গভীরেও। নিভু নিভু গ্রামীণ স্বাস্থ্যকেন্দ্রগুলির সামনেও ভয়ার্ত মানুষের আঁকাবাঁকা লাইন। কেমন আছে সেই সব অচেনা স্বাস্থ্যকেন্দ্রগুলি, খোঁজ নিল আনন্দবাজারখড়গ্রাম ব্লকের মাড়গ্রাম ও কীর্তিপুর গ্রাম পঞ্চায়েতের প্রায় ৩৫টি গ্রামের বাসিন্দারা ওই হাসপাতালের উপর নির্ভর করেন।

Advertisement

কৌশিক সাহা

মাড়গ্রাম শেষ আপডেট: ২১ এপ্রিল ২০২০ ০২:৪৪
Share:

চিকিৎসা চলছে। নিজস্ব চিত্র

এক দশক আগে হাসপাতালে নিয়মিত চিকিৎসক আসতেন। সকাল থেকে রোগীদের লম্বা লাইন থাকত। এক বছর পরেই অবস্থা পাল্টে যায়। দীর্ঘ দিন ধরে এক জন করে ফার্মাসিস্ট, নার্স ও চতুর্থশ্রেণির কর্মীই ভরসা ছিল খড়গ্রাম ব্লকের মাড়গ্রাম প্রাথমিক স্বাস্থ্যকেন্দ্রের। এখন লকডাউনের সময় সপ্তাহে এক দিন করে এক জন চিকিঞসক আসছেন।

Advertisement

খড়গ্রাম ব্লকের মাড়গ্রাম ও কীর্তিপুর গ্রাম পঞ্চায়েতের প্রায় ৩৫টি গ্রামের বাসিন্দারা ওই হাসপাতালের উপর নির্ভর করেন। ওই হাসপাতালে একটা সময় চিকিৎসক, নার্স, চতুর্থশ্রেণির কর্মী ও অন্য স্বাস্থ্যকর্মীরা নিজেদের পরিবার নিয়ে হাসপাতাল চত্বরে থাকা কোয়াটার্সে থাকতেন। সেই সময় দিনরাত চিকিৎসার সুযোগ ছিল। কিন্তু টানা অনেক দিন ধরে চিকিৎসক ছিলেন না। সকালে স্বাস্থ্যকর্মীরা ওই হাসপাতালে আসেন আবার দুপুরে হাসপাতালে তালা ঝুলিয়ে চলে যান। সকাল দশটা থেকে একটা পর্যন্ত ওই তিন ঘণ্টার মধ্যে রোগীদের অসুবিধার কথা শোনার পর ওষুধ দেওয়া হচ্ছে স্বাস্থ্যকর্মীদের কাজ। প্রায় শ’দেড়েক রোগী আসেন। এখন চিকিৎসক যে দিন আসেন ভিড় বাড়ে। বাকি সময় কোনও চিকিৎসার প্রয়োজন হলে প্রায় ১২ কিলোমিটার দূরে ছুটতে হয় খড়গ্রাম গ্রামীণ হাসপাতালে। কিন্তু খড়গ্রাম গ্রামীণ হাসপাতালে চিকিৎসা করতে যাওয়া যেমন ব্যয় সাপেক্ষ, তেমন টানা বাসও পাওয়া যায়না। ব্লক স্বাস্থ্য আধিকারিক নিত্যানন্দ গায়েন বলেন, “এখন একজন চিকিৎসককে সপ্তাহে একদিন করে ওই হাসপাতালে পাঠানো হচ্ছে। ব্লকে মোট পাঁচজন চিকিৎসক ফলে নিয়মিত চিকিৎসক পাঠানো সম্ভব হচ্ছে না।”

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন