SNR Carnival Hospital

খুলছে জট, কার্নিভালে প্রস্তুতি তুঙ্গে

আপাতত কোভিড হাসপাতালের দায়িত্বে আছেন জেলা স্বাস্থ্য দফতরের অধীনস্থ চিকিৎসক ও নার্সেরা। তাঁদের সঙ্গে জেএনএমের কিছু চিকিৎসক ও নার্সও রয়েছেন।

Advertisement

মনিরুল শেখ

কল্যাণী শেষ আপডেট: ২৮ এপ্রিল ২০২০ ০১:৪৮
Share:

প্রতীকী ছবি

জওহরলাল নেহরু মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতালে (জেএনএম) ভর্তি থাকা এক রোগিণীর করোনা ধরা পড়ার পরেই কার্যত সচল হয়েছে নদিয়ার কোভিড-১৯ হাসপাতাল এসএনআর কার্নিভাল। তবে ওই রোগিণীর সংস্পর্শে আসায় কল্যাণীর গাঁধী মেমোরিয়াল হাসপাতালের তিন চিকিৎসক-সহ ১০ জনকে সোমবারই কোয়ারেন্টাইনে পাঠানো হয়েছে।

Advertisement

কার্নিভালকে পুরোদস্তুর ‘কোভিড’ হাসপাতাল হিসেবে চালু করার জন্য যত চিকিৎসক প্রয়োজন, তার জোগান নিয়ে বেশ কিছু দিন ধরেই মেডিক্যাল কলেজ কর্তৃপক্ষ এবং নদিয়া জেলা স্বাস্থ্য দফতরের মধ্যে দড়ি টানাটানি চলছে। সোমবার বিকেলেও এ নিয়ে দুই তরফে বৈঠক হয়। প্রশাসন সূত্রের খবর, রবিবার থেকে জেএনএমের সুপার সক্রিয় ভূমিকা নিতে শুরু করতেই জট অনেকটা খুলে গিয়েছে। জেলাশাসক বলেন, ‘‘জেএনএমের সুপারকে বলেছি, স্বাস্থ্য দফতর ও মেডিক্যাল কলেজের চিকিৎসকদের মিলিয়ে একটা কাজের তালিকা তৈরি করে দিতে।’’

আপাতত কোভিড হাসপাতালের দায়িত্বে আছেন জেলা স্বাস্থ্য দফতরের অধীনস্থ চিকিৎসক ও নার্সেরা। তাঁদের সঙ্গে জেএনএমের কিছু চিকিৎসক ও নার্সও রয়েছেন। হাসপাতাল সূত্রের খবর, আপাতত জনা বারো নার্স সেখানে রয়েছেন। জেলা স্বাস্থ্য দফতর চার জন চিকিৎসককে পাঠিয়েছে। জেএনএমেরও কয়েক জন চিকিৎসক হাজিরা দিয়েছেন। স্বাস্থ্য দফতর ও জেএনএম মিলিয়ে জনা পঞ্চাশ চিকিৎসকের তালিকা তৈরি হচ্ছে। তার মধ্যে বিভিন্ন বিভাগের বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকেরাও থাকবেন। এঁদের অনেকেই জেএনএম থেকে যাবেন। যেমন রোগীর লালারসের নমুনা সংগ্রহের সময়ে ইএনটি বিভাগের চিকিৎসক যাবেন। বিশেষ প্রয়োজনে মেডিসিন, কিডনি, চেস্ট মেডিসিনের চিকিৎসকেরাও সেখানে যাবেন।

Advertisement

জেএনএম সূত্রের খবর, মেডিসিন বিভাগের এক চিকিৎসক ইতিমধ্যেই উত্তর ২৪ পরগনার নৈহাটি থেকে আসা করোনা আক্রান্ত রোগিণীকে দেখেছেন। বৃহস্পতিবার শ্বাসকষ্টের উপসর্গ নিয়ে ওই রোগিণী প্রথমে গাঁধী মেমোরিয়াল হাসপাতালে আসেন। সেখান থেকে তাঁকে জেএনএমের আইসোলেশন ওয়ার্ডে পাঠানো হয়। গাঁধী হাসপাতালে নদিয়া তো বটেই, আশপাশের একাধিক জেলার রোগী হৃদ্রোগের চিকিৎসার জন্য আসেন। এমনিতেই সেখানে রোগীর তুলনায় চিকিৎসকের সংখ্যা কম। এই অবস্থায় তিন চিকিৎসক কোয়ারেন্টাইনে চলে যাওয়ায় চাপ আরও বাড়ল।

গাঁধী হাসপাতালের চিকিৎসকেরা জানাচ্ছেন, শ্বাসকষ্ট হলেই সাধারণত আশপাশ থেকে তাঁদের হাসপাতালেই রোগীকে ‘রেফার’ করা হয়। শ্বাসকষ্ট করোনারও লক্ষণ। কিন্তু সেখানে চিকিৎসকদের বর্মবস্ত্র (পিপিই) বা অন্য কোনও সুরক্ষার বন্দোবস্ত নেই। ফলে নিজেদের নিরাপত্তা নিয়েই তাঁরা চিন্তিত। জেএনএমের সুপার অবশ্য আশ্বাস দিয়েছেন, ‘‘গাঁধী হাসপাতালের চিকিৎসকদের জন্যও পিপিই আনা হচ্ছে। আর জেএনএমের যে ডাক্তারেরা কোভিড হাসপাতালে যাবেন, তাঁদের পুরো সুরক্ষা দেওয়া হচ্ছে। ফলে তাঁরা ওখান থেকে ফিরে জেএনএমে কাজ করতে পারবেন। কোনও অসুবিধা হবে না।’’ তিনি জানান, ‘কোভিড’ হাসপাতালে চিকিৎসক, নার্স ও স্বাস্থ্যকর্মীদের কাজের দিনের তালিকা (রোস্টার) করে দেওয়া হয়েছে। ফলে কোনও সমস্যা হওয়ার কথা নয়।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন