লাইনে যুগলের মৃতদেহ

মেয়েটির মুখ খানিকটা বোঝা গেলেও, ছেলেটিকে চেনার উপায় ছিল না। খবর যায় পুলিশে। বৃহস্পতিবার দুপুর থেকে নিখোঁজ ছিলেন স্থানীয় নবকৌতুকপুর গ্রামের বাসিন্দা বছর ছত্রিশের সৌরভ বৈদ্য। কল্যাণীতে একটি চায়ের দোকানে কাজ করতেন।

Advertisement

নিজস্ব প্রতিবেদন

চাকদহ শেষ আপডেট: ১৪ সেপ্টেম্বর ২০১৯ ০০:৩২
Share:

ভেঙে পড়েছেন সৌরভের বাড়ির লোকজন। নিজস্ব চিত্র

ভোরে ট্রেন ধরতে যাওয়ার সময় চমকে উঠেছিলেন কয়েক জন যাত্রী। চাকদহ থানার শিমুরালি রূপপুর রেলগেটের কাছে আপ রেল লাইনে ফুট দশেকের ব্যবধানে পড়ে আছে দু’টি দেহ। ট্রেনের ধাক্কায় ছিন্নভিন্ন। এক তরুণী ও এক তরুণ।

Advertisement

মেয়েটির মুখ খানিকটা বোঝা গেলেও, ছেলেটিকে চেনার উপায় ছিল না। খবর যায় পুলিশে। বৃহস্পতিবার দুপুর থেকে নিখোঁজ ছিলেন স্থানীয় নবকৌতুকপুর গ্রামের বাসিন্দা বছর ছত্রিশের সৌরভ বৈদ্য। কল্যাণীতে একটি চায়ের দোকানে কাজ করতেন। তাঁর স্ত্রী ও মেয়ে রয়েছে। দু’টি দেহ উদ্ধারের খবর পেয়ে তাঁর বাড়ির লোক ছুটে আসেন। ড্রাইভিং লাইসেন্স দেখে সৌরভকে চিহ্নিত করা হয়।

নিহত তরুণীর পরিবারের তরফে এখনও কেউ যোগাযোগ করেননি। তবে সৌরভের আত্মীয়-পরিজনেরা জানিয়েছেন, মেয়েটির নাম রূপা দাস। তিনিও বিবাহিত। তাঁর বাপের বাড়ি উত্তর ২৪ পরগনার গোপালনগরে। সেখানেই তিনি থাকতেন। কয়েক মাস আগে ফেসবুকের মাধ্যমে সৌরভের সঙ্গে তাঁর পরিচয় এবং তার থেকে ঘনিষ্ঠতা।

Advertisement

মৃতদেহ দু’টি উদ্ধার করে রানাঘাট মহকুমা হাসপাতালে ময়না তদন্তের জন্য পাঠানো হয়েছে। রেল পুলিশ সূত্রে জানানো হয়েছে, প্রাথমিক তদন্তে মনে হচ্ছে, ওই দু’জন আত্মহত্যা করেছেন। একটি অস্বাভাবিক মৃত্যুর মামলা রুজু করে ঘটনার তদন্ত শুরু হয়েছে। ঘটনাস্থল থেকে ড্রাইভিং লাইসেন্স, গাড়ির চাবি, ভাঙা মোবাইল উদ্ধার হয়েছে। এলাকার বাসিন্দারা জনিয়েছেন, বৃহস্পতিবার রাতের দিকে তাঁদের রেল লাইনের ধারে ঘুরতে দেখা গিয়েছিল।

সৌরভের স্ত্রী সুপর্ণা বলেন, “কিছু দিন আগে রূপার কথা জানতে পারি। মেয়েটি আমাদের বাড়িতেও এসেছিল। তবে পরিবারের প্রতি সব সময় স্বামীর টান ছিল। খেয়াল রাখতেন আমাদের। এমন করে বসবেন বুঝতে পারিনি।”

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন