গত ৩১ মে ভোরে কান্দি থানার পার্বতীপুরে ঘটনাটি ঘটেছিল। পরের দিন পুলিশ ওস্তাবকে গ্রেফতার করে। সেই থেকে সে জেল হাজতে রয়েছে। বৃহস্পতিবার বিচারক সন্দীপ মান্না তার সাজা ঘোষণা করেন। স্বাধীনতার পর কান্দি আদালতে এই প্রথম কারও ফাঁসির সাজা হল।
পুলিশ সূত্রের খবর, বেলডাঙার মোয়াজ্জেমপুরের নাফিজার সঙ্গে বিয়ে হয়েছিল ওস্তাবের। ঘটনার দিন ভোরে গ্রামের লোকজন দেখেন, ওস্তাবের ঘর থেকে ধোঁয়া বেরোচ্ছে। ঘরের বাইরে শিকলে তালা মারা। তালা ভেঙে বের করা হয় নাফিজা বিবি ও তাঁর তিন মেয়ে আমিনা খাতুন (৫), মর্শিদা খাতুন (৩) ও তুহিনা খাতুনের (সাত মাস) দগ্ধ দেহ। নাফিজার বাবা রাজ্জাক শেখ সে দিনই কান্দি থানায় অভিযোগ দায়ের করেন।
তদন্তে নেমে পুলিশ জানতে পারে, স্বামীর বিবাহ বহির্ভূত সম্পর্কের কথা জেনে প্রতিবাদ করেছিলেন নাফিজা। এ নিয়ে তাদের মধ্যে অশান্তি চরমে ওঠে। তার জেরেই পরিকল্পিত ভাবে স্ত্রী ও মেয়েদের গায়ে কেরোসিন ঢেলে আগুন লাগায় ওস্তাব।
সরকারি কৌঁসুলি সুনীল চক্রবর্তী জানান, মামলায় ন’জনের সাক্ষ্য নেওয়া হয়েছিল। ‘বিরলের মধ্যে বিরলতম’ অপরাধ হিসেবে বিবেচনা করেই বিচারক মৃত্যুদণ্ড দিয়েছেন। ওস্তাব নিজে কোনও আইনজীবী দিতে না পারায় আদালতের লিগ্যাল সেল থেকে সরকারি খরচে এক কৌঁসুলিকে নিযুক্ত করা হয়েছিল। সেই কৌঁসুলি, চৌধুরী আসিফ ইকবাল জানান, এই রায়ের বিরুদ্ধে তাঁরা হাইকোর্টে আপিল করবেন।