Krishnanagar Murder Case

কাঠগড়ায় নির্লিপ্ত, সাত দিনের পুলিশি হেফাজতের নির্দেশ শুনে চুপ ঈশিতা খুনে ধৃত দেশরাজ

শনিবার সকাল সাড়ে ১০টা নাগাদ কৃষ্ণনগর জেলা আদালতে নিয়ে আসা হয়েছিল দেশরাজকে। তবে তাঁর মামলা আদালতে উঠতে উঠতে বেলা গড়িয়ে যায়। দু’পক্ষের সওয়াল-জবাব শেষে বিচারক অভিযুক্তের সাত দিনের পুলিশি হেফাজতের নির্দেশ দেন।

Advertisement

আনন্দবাজার ডট কম সংবাদদাতা

শেষ আপডেট: ০৬ সেপ্টেম্বর ২০২৫ ২২:৩০
Share:

(বাঁ দিকে) কৃষ্ণনগরের তরুণী ঈশিতা মল্লিককে খুনের অভিযোগে ধৃত দেশরাজ সিংহের (ডান দিকে) পুলিশ হেফাজতের নির্দেশ। — ফাইল চিত্র।

কাঠগড়ায় আর পাঁচ জন বিচারাধীন বন্দির সঙ্গে দাঁড়িয়ে ছিলেন তিনি। পরনে তাঁর গোলাপি টি-শার্ট, নীল রঙের ট্রাউজার্স। পায়ে চপ্পল। বাকি অভিযুক্তেরা যখন কাঠগড়া থেকে আত্মীয়স্বজনদের সঙ্গে কথা বলছেন, তখন চুপচাপ আদালতের দেওয়ালে পিঠ ঠেকিয়ে দাঁড়িয়ে ছিলেন কৃষ্ণনগরের তরুণী ঈশিতা মল্লিকের খুনে ধৃত দেশরাজ সিংহ। বিচারক যখন তাঁর সাত দিনের পুলিশি হেফাজতের নির্দেশ দিচ্ছেন, তখনও তিনি নির্লিপ্ত। কোনও কথা না-বলেই আদালত থেকে পুলিশের সঙ্গে বেরিয়ে গাড়িতে ওঠেন দেশরাজ। আদালতে যাঁরা শনিবার দেশরাজকে দেখেছেন, তাঁদের মতে, তাঁকে দেখে কখনও মনে হয়নি তিনি ‘উদ্বিগ্ন’।

Advertisement

শনিবার সকাল সাড়ে ১০টা নাগাদ কৃষ্ণনগর জেলা আদালতে হাজির করানো হয়েছিল দেশরাজকে। তবে তাঁর মামলা আদালতে উঠতে উঠতে বেলা গড়িয়ে যায়। দুপুর সওয়া ৩টে নাগাদ অতিরিক্ত জেলা মুখ্য বিচারবিভাগীয় (এসিজেএম) আদালতে হাজির করানো হয় দেশরাজকে। সরকার পক্ষের আইনজীবী জানান, তদন্তের স্বার্থে অভিযুক্তকে আরও কয়েক দিন পুলিশি হেফাজতে নেওয়ার প্রয়োজন রয়েছে। ১৪ দিনের পুলিশ হেফাজতের আবেদন করা হয়। তবে সেই আবেদনের বিরোধিতা করেন দেশরাজের আইনজীবী অরূপরতন চট্টোপাধ্যায়। যদিও দু’পক্ষের সওয়াল-জবাব শেষে বিচারক অশোক হালদার, অভিযুক্ত দেশরাজকে সাত দিনের পুলিশে হেফাজতের নির্দেশ দেন। সেই নির্দেশ শুনেও অভিযুক্তের চোখেমুখে কোনও অভিব্যক্তি ফুটে ওঠেনি। বিকেল সাড়ে ৪টে নাগাদ আদালত থেকে দেশরাজকে কোতোয়ালি থানায় নিয়ে যাওয়া হয়। তদন্তকারীদের সূত্রে খবর, হেফাজতে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করে খুনে ব্যবহৃত অস্ত্র এবং এই ঘটনায় তাঁকে আর কে কে সাহায্য করেছেন, তাঁদের নাম জানতে চাইছে পুলিশ।

কৃষ্ণনগর পুলিশ জেলার ডিএসপি শিল্পী পাল বলেন, ‘‘তদন্তের স্বার্থে দেশরাজকে জিজ্ঞাসাবাদ করা অত্যন্ত প্রয়োজনীয়। আমরা তাঁকে হেফাজতে পেয়েছি। জিজ্ঞাসাবাদ করে এই খুনের অনেক তথ্য অভিযুক্তের কাছ থেকে উদ্ধার হবে বলে আশা করছি। খুনে ব্যবহৃত অস্ত্র কোথায় লুকিয়েছেন দেশরাজ, সেটা জানার চেষ্টা চলছে।’’

Advertisement

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement