কান্দিতে লোক হল না কেষ্টর সভায়

দিন তিনেক আগে তাঁর আসার কথা ছিল। মাইকে নাগাড়ে সে ঘোষণাও চলছিল। শেষমেশ তিনি আসেননি। তবে মঙ্গলবার তিনি, বীরভূম জেলা তৃণমূলের সভাপতি অনুব্রত মণ্ডল পড়শি মুর্শিদাবাদ জেলায় এলেন। দু’টি পথসভাতে অংশ নিলেন।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

কান্দি শেষ আপডেট: ২০ এপ্রিল ২০১৬ ০৩:২৫
Share:

দিন তিনেক আগে তাঁর আসার কথা ছিল। মাইকে নাগাড়ে সে ঘোষণাও চলছিল। শেষমেশ তিনি আসেননি। তবে মঙ্গলবার তিনি, বীরভূম জেলা তৃণমূলের সভাপতি অনুব্রত মণ্ডল পড়শি মুর্শিদাবাদ জেলায় এলেন। দু’টি পথসভাতে অংশ নিলেন।

Advertisement

এ দিন অনুব্রত আসবেন বলে তৃণমূল নেতারা সে ভাবে ঘোষণা করেননি। কার্ কার্যত আচমকাই তিনি হাজির হন। পৌনে এক ঘণ্টা থাকলেন। পথসভা সেরে কালবিলম্ব না করে চললেন নিজের জেলায়। অনুব্রত কান্দি মহকুমার ভরতপুর ও বড়ঞা বিধানসভা কেন্দ্রের পর্যবেক্ষক। এ দিন বিকেলে সালারের পূর্বগ্রাম ও চৌরঙ্গি মোড়ে দু’টি পথসভা করলেন তিনি। দিন দুয়েক আগে প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি অধীর চৌধুরী অনুব্রতকে চ্যালেঞ্জের সুরে বলেছিলেন, ‘‘ক্ষমতা থাকলে এ জেলায় ভোটে অশান্তি পাকাক।’’ এ দিনের পথসভাতে অনুব্রত আগাগোড়া অধীরকে নিশানা করলেন। তিনি প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতিকে পাগল বলে তোপ দাগেন। তারপর তিনি বলেন, ‘‘সিপিএম রাজ্যজুড়ে বহু কংগ্রেস কর্মীকে খুন করেছে। সেই সিপিএমের সঙ্গে অধীরবাবু জোট করেছে। তাহলে অধীরবাবু পাগল ছাড়া আর কী!” এ দিন অনুব্রতর পথসভায় অবশ্য সে ভাবে লোকজন হয়নি। দু’টি পথসভাতেই মেরেকেটে শ’দেড়েক লোকজন হাজির ছিলেন। কেন এই হাল? স্থানীয় তৃণমূল নেতাদের দাবি, অনুব্রত আসবেন বলে কোনও আগাম ঘোষণা করা হয়নি। ফলে সে ভাবে লোকজন আসেননি। কার্যত ফাঁকা জনসভাতে অনুব্রত অবশ্য হুঙ্কার ছাড়তে ভোলেননি। তিনি ফাঁকা রাস্তাতে দাঁড়িয়ে অধীরের উদ্দেশ্যে বলেন, ‘‘বহরমপুরের দাদা যদি এখানে বেশি চমকাতে আসে, তাহলে মনে রাখবেন আমরাও পাল্টা চমকাতে পারি। ভয় পাবেন না। প্রয়োজন হলে আমি নিজেই বীরভূম থেকে আসব।’’

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন