Cyclone Amphan

ত্রাণ দুর্নীতির অভিযোগ, দাবি কাজের

নপাড়া ২ গ্রাম পঞ্চায়েত তৃণমূলের দখলে। আমপান ঝড়ে সেখানে অনেকেরই কাঁচাবাড়ি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

শেষ আপডেট: ৩০ জুন ২০২০ ০৪:৫৬
Share:

প্রতীকী ছবি

তৃণমূলের পঞ্চায়েত প্রধান ও উপপ্রধানের অত্মীয়-পরিজনের নাম ছিল ক্ষতিগ্রস্তদের তালিকায়। অভিযোগ, এঁদের সকলেরই পাকাবাড়ি, আমপান ঝড়ে কোনও ক্ষতিও হয়নি। শাসকদলের বিরুদ্ধে আমপান দুর্নীতির অভিযোগের তালিকায় সোমবারের এই ঘটনা নয়া সংযোজন। যদিও পঞ্চায়েত প্রধান অভিযোগ অস্বীকার করেছেন।

Advertisement

এই নিয়ে স্থানীয় বাসিন্দাদের ভিতরে ক্ষোভ বাড়ছিল। সোমবার ন’পড়া ২ গ্রাম পঞ্চায়েত অফিসে গিয়ে বিক্ষোভ দেখালেন তাঁরা, যাঁদের বেশির ভাগই পরিযায়ী শ্রমিক। ঝড়ে ক্ষতিপূরণের পাশাপাশি ১০০ দিনের কাজ দাবি করতে থাকেন তাঁরা। দাবি তোলা হয়, কাজ হারিয়ে যে সব পরিযায়ী শ্রমিক বাড়ি ফিরে এসেছেন তাঁদের সকলকেই ১০০ দিনের প্রকল্পে কাজ দিতে হবে। এই বিক্ষোভ ঘিরে এলাকায় ব্যাপক উত্তেজনা ছড়ায়। ধুবুলিয়া থানা থেকে পুলিশ গিয়ে পরিস্থিতি সামাল দেয়।

নপাড়া ২ গ্রাম পঞ্চায়েত তৃণমূলের দখলে। আমপান ঝড়ে সেখানে অনেকেরই কাঁচাবাড়ি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। বিক্ষোভকারীদের অভিযোগ, প্রকৃত ক্ষতিগ্রস্তদের নাম তালিকায় নেই। অথচ প্রধান, উপপ্রধান ও পঞ্চায়েতের অন্য সদস্যদের পরিবার লোকজনের নাম আছে সেই তালিকায়। সোমবার কোনও রাজনৈতিক পতাকা না নিয়েই পঞ্চায়েত ভবনের সামনে জড়ো হয়ে বিক্ষোভ দেখাতে থাকেন স্থানীয় বাসিন্দাদের অনেকে। তাঁদের মধ্যে জড়ো হতে থাকেন পরিযায়ী শ্রমিকেরাও। ন্যায্য ক্ষতিপূরণের পাশাপাশি তাঁরা দাবি তোলেন ১০০ দিনের কাজের। যদিও এই শ্রমিকদের অনেকেরই নাম জবকার্ডে নাম নেই।

Advertisement

পঞ্চায়েত প্রধান, তৃণমূলের অর্চনা দাস অবশ্য ক্ষতিপূরণের তালিকায় দুর্নীতির কথা অস্বীকার করেছেন। তাঁর দাবি, “একেবারেই মিথ্যে অভিযোগ। চক্রান্ত করে এসব বলা হচ্ছে। আর সব পরিযায়ী শ্রমিকদের কাজ দেওয়ার ক্ষমতা আমাদের নেই। ওটা প্রশাসন ঠিক করবে।” এই ঘটনা সামনে আসার পর কিছুটা হলেও বিব্রত এলাকার তৃণমূল বিধায়ক তথা কারামন্ত্রী উজ্জ্বল বিশ্বাস। তিনি বলেন, “আমি দলের পঞ্চায়েত সদস্যদের পরিষ্কার বলে দিয়েছি, যারা ক্ষতিপুরণ পাওয়ার যোগ্য নয় তাদের টাকা ফেরত দিয়ে দিতে হবে।” কৃষ্ণনগর সদর মহকুমাশাসক মণীশ বর্মা বলেন, “অভিযোগ খতিয়ে দেখা হচ্ছে। যাঁদের নাম জবকার্ডে নেই, তাঁদের সংশ্লিষ্ট গ্রাম পঞ্চায়েত অফিসে গিয়ে ফর্ম জমা করতে হবে। যাঁরা কাজ চান তাঁদের সকলকেই কাজ দেওয়া হবে।”

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement
Advertisement