TMC

Nadia: বাপের বাড়ি বিজেপি, বউমাকে প্রাণে মারার হুমকি দিয়ে ঘরছাড়া করার অভিযোগ তৃণমূল নেতার বিরুদ্ধে

বউমাকে নির্যাতন করে বাড়ি থেকে বের করে দেওয়ার অভিযোগ উঠল নদিয়ার কুপার্স ক্যাম্প পুরসভার তৃণমূলের ভাইস চেয়ারম্যান ও তাঁর পরিবারের বিরুদ্ধে।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

নদিয়া শেষ আপডেট: ২২ মার্চ ২০২২ ১৮:৫৮
Share:

হাসপাতালে ভর্তি বধূ। নিজস্ব চিত্র।

বউমার বাপের বাড়ির পরিবার বিজেপি-র সমর্থক। তাই তাঁকে শারীরিক এবং মানসিক নির্যাতন করে বাড়ি থেকে বের করে দেওয়ার অভিযোগ উঠল নদিয়ার কুপার্স ক্যাম্প পুরসভার তৃণমূলের ভাইস চেয়ারম্যান দিলীপ দাস এবং তাঁর পরিবারের বিরুদ্ধে। এমনকি এ নিয়ে তিনি থানায় অভিযোগ করায় তাঁকে বেধড়ক মারধর করে খুনের হুমকি দেওয়া হয় বলে অভিযোগ। এখন তাঁরা চরম আতঙ্কে দিন কাটাচ্ছেন জানান ওই বধূ এবং তাঁর বাপের বাড়ির লোকজন।

জানা গিয়েছে, পাঁচ বছর আগে নদিয়ার কুপার্স ক্যাম্প পুরসভার ৬ নম্বর ওয়ার্ডের বাসিন্দা চিরঞ্জিৎ দাসের বিয়ে হয় ৭ নম্বর ওয়ার্ডের বাসিন্দা সোমা হালদারের সঙ্গে। চিরঞ্জিৎ সম্পর্কে ৬ নম্বর ওয়ার্ডের বাসিন্দা তথা পুরসভার ভাইস চেয়ারম্যান দিলীপ দাসের ভাইপো। সোমার অভিযোগ, বিয়ের পর তিনি ভালই ছিলেন। সমস্যার শুরু কিছুদিন আগে। সোমার দাদা বিজেপি-তে যোগদান করার পরই তাঁর উপর শ্বশুরবাড়ির লোকজনের অত্যাচার শুরু হয় বলে অভিযোগ। বধূর বাপের বাড়ির লোকজনের অভিযোগ, দিনের পর দিন তাঁদের মেয়েকে শারীরিক এবং মানসিক নির্যাতন করা হয়। কয়েক মাস আগে বাড়ি থেকে বের করেও দেওয়া হয়। কারণ, তাঁর বাপের বাড়ির লোকজন অন্য একটি রাজনৈতিক দলের সমর্থক!

Advertisement

এ নিয়ে বধূর পরিবারের তরফে রানাঘাট থানায় একটি লিখিত অভিযোগ দায়ের করা হয়। অভিযোগের ভিত্তিতে গ্রেফতারও হন অভিযুক্তরা। পরে জামিনে মুক্তি পান অভিযুক্তরা। এরপরে তাঁকে প্রাণে মারার হুমকি দেন শ্বশুরবাড়ির লোকজন, অভিযোগ সোমার। শুধু তাই নয়, তাঁকে এবং তাঁর পরিবারকে অস্ত্র এবং লোহার রড দিয়ে মারধর করা হয় বলে অভিযোগ। কোনওক্রমে পালিয়ে প্রাণে বাঁচেন তাঁরা। এর পর আবার স্বামী-সহ শ্বশুর বাড়ির লোকজনের বিরুদ্ধে থানায় অভিযোগ দায়ের করেন সোমা। অভিযোগের ভিত্তিতে তদন্ত শুরু করেছে পুলিশ। তবে এই ঘটনার কোনও প্রতিক্রিয়া দিতে চাননি অভিযুক্ত তৃণমূলের ভাইস চেয়ারম্যান দিলীপ দাস ও তাঁর পরিবারের সদস্যরা।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন