ফাইল চিত্র।
বাবাকে হাসপাতালে দেখাশোনা করতে গিয়ে মৃত্যু হয় ছেলের। সোমবার মুর্শিদাবাদ মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতাল চত্বরে সুলভ শৌচাগার থেকে উদ্ধার হয় মুরুটিয়ার কেচুয়াডাঙার সমর হালদারের (৪৫) দেহ। সেই দিনই হাসপাতাল ছেড়ে দেয় তাঁর বাবা শম্ভু হালদারকে। অভিযোগ, হাসপাতালের চিকিৎসা সংক্রান্ত কোনও কাগজপত্র ছাড়াই ওই বৃদ্ধকে ছেড়ে দেওয়া হয়। বুধবার মৃত্যু হয় ওই বৃদ্ধেরও।
প্রাথমিক তদন্তের পরে পুলিশের দাবি, শৌচাগারে গলায় গামছা দিয়ে আত্মহত্যা করছেন সমর। হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের দাবি, অনেক সময় রোগীর চাপ থাকায় বিপন্মুক্ত রোগীকে ছুটি দিয়ে দেওয়া হয়। ওই দু’টি বিষয়ই মানতে নারাজ হালদার পরিবার। পুরো ঘটনার তদন্ত চেয়ে বুধবার ই-মেলে সমরের স্ত্রী ঝর্ণা মুর্শিদাবাদ মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতাল অধ্যক্ষ, পুলিশ সুপার, মুখ্য স্বাস্থ্য আধিকারিককে চিঠি পাঠিয়েছেন। সমরের পরিবারের অভিযোগ, সমর আত্মহত্যা করেননি। তাঁকে খুন করা হয়েছে। তাঁর বুক ও হাতে রক্ত লেগে ছিল বলেও তাঁরা জানতে পেরেছেন। পুলিশের যুক্তি, ওই শৌচাগারে সব সময় লোকজন যাতায়াত করেন। সেখানে কাউকে খুন করে ঝুলিয়ে দেওয়া সম্ভব নয়। তাছাড়াও ঝুলন্ত দেহ দেখে মনে হচ্ছে, সমর আত্মহত্যাই করেছেন।
আরও অভিযোগ, সমরের বাবা শম্ভু অসুস্থ থাকলেও বিতর্কের ভয়ে তাঁকে জোর করে ছুটি দেওয়া হয়। চিকিৎসা সংক্রান্ত সমস্ত কাগজপত্রও কেড়ে নেওয়া হয়। এ দিকে অসুস্থ অবস্থায় বাড়িতে দু’দিন পড়ে থেকে বুধবার মারা গিয়েছেন তিনি। জেলার মুখ্যস্বাস্থ্য আধিকারিক নিরূপম বিশ্বাস বলছেন, “নির্দিষ্ট অভিযোগ এলে তা তদন্ত কমিটির কাছে পাঠানো হবে।”