মৃত ভ্রূণ প্রসব, গাফিলতির অভিযোগ

চিকিৎসায় গাফিলতির অভিযোগ উঠেছে মুর্শিদাবাদ মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের বিরুদ্ধে।গত ২৫ মার্চ রাতে ১৮ সপ্তাহের অন্তঃসত্ত্বা বহরমপুর উকিলাবাদ রোডের বাসিন্দা রাজশ্রী মুখোপাধ্যায়ের পেটে ব্যথা শুরু হয়।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

বহরমপুর শেষ আপডেট: ২৯ মার্চ ২০১৭ ০১:৩০
Share:

চিকিৎসায় গাফিলতির অভিযোগ উঠেছে মুর্শিদাবাদ মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের বিরুদ্ধে।

Advertisement

গত ২৫ মার্চ রাতে ১৮ সপ্তাহের অন্তঃসত্ত্বা বহরমপুর উকিলাবাদ রোডের বাসিন্দা রাজশ্রী মুখোপাধ্যায়ের পেটে ব্যথা শুরু হয়। তাঁকে ভর্তি করানো হয় মুর্শিদাবাদ মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে। ওই রাতে তাঁকে ইঞ্জেকশন দিয়ে ফেলে রাখা হয় বলে অভিযোগ। পরের দিন অবশ্য রোগী সুস্থ রয়েছে বলে হাসপাতাল থেকে ছেড়েও দেওয়া হয়। সেই মতো ২৬ মার্চ সকালে হাসপাতাল থেকে বাড়ি নিয়ে যাওয়া হয় রাজশ্রীদেবীকে। বাড়িতে পৌঁছনোর আধ ঘণ্টা পরেই রাজশ্রীদেবী ফের অসুস্থ হয়ে পড়েন। তাঁর ভ্রুণ বেরিয়ে আসতে দেখা যায়। তাঁকে নিয়ে যাওয়া হয় বহরমপুরের একটি বেসরকারি হাসপাতালে। সেখানে অস্ত্রোপচার করে ভ্রুণ বার করা হয়। এখন রাজশ্রীদেবী ওই নার্সিংহোমেই চিকিৎসাধীন রয়েছেন।

ওই গোটা ঘটনায় চিকিৎসায় গাফিলতির অভিযোগ এনেছেন ওই মহিলার পরিবারের লোকজন। সোমবার মুর্শিদাবাদ মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের কাছে লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন ওই মহিলার শ্বশুর নিখিল মুখোপাধ্যায়। নিখিলবাবু জানান, রাজ্য সরকার সাধারণ মানুষকে উন্নত স্বাস্থ্য পরিষেবা দিতে চাইছে। বহু টাকা খরচ করে অত্যাধুনিক সরঞ্জাম কেনা হচ্ছে হাসপাতালগুলিতে। সেখানে বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকও রয়েছেন। কিন্তু এত কিছুর পরও রোগীরা উন্নত চিকিৎসা থেকে বঞ্চিত হচ্ছেন। রোগের প্রকৃত কারণ না জেনে, কোনও রকম পরীক্ষা-নিরীক্ষা না করেই রোগীকে সুস্থ বলে জানিয়ে দেওয়া হচ্ছে। হাসপাতাল থেকে ছেড়ে দেওয়া হয়। চিকিৎসকের ওই গাফিলতির প্রকৃত তদন্ত হওয়া উচিত। এ দিকে অভিযোগ পেয়ে চার সদস্যের তদন্ত কমিটি গঠন করেছেন সুপার তথা সহ-অধ্যক্ষ সুহৃতা পাল। তিনি বলেন, ‘‘প্রকৃত কারণ জানতে তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে। ওই রিপোর্ট হাতে পেলে ঠিক কী ঘটেছিল, তা বলা সম্ভব হবে।’’

Advertisement
(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন