তোলা হচ্ছে দেহ। —নিজস্ব চিত্র।
বাড়ির পরিত্যক্ত কুয়োয় নেমে মৃত্যু হল এক যুবকের। রবিবার দুপুরে কৃষ্ণনগরের নগেন্দ্রনগরের ঘটনা। মৃতের নাম পাঁচুগোপাল হালদার (৩২)। এ দিন সন্ধ্যায় দমকল বাহিনী এবং সিভিল ডিফেন্সের কর্মীরা ঘণ্টা চারেকের চেষ্টায় ওই কুয়ো থেকে মৃতদেহ উদ্ধার করা হয়। পরে মৃতদেহ শক্তিনগর জেলা হাসপাতালে ময়না তদন্তে পাঠানো হয়েছে বলে পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে। পাঁচুগোপাল শহরের চার্চের কাছে একটি গ্যারাজে কাজ করতেন। মৃতের বড় বৌদি সরমা হালদার জানান, বাড়ির ভেতরে থাকা এই কুয়োটি আগে ব্যবহার করা হত। কিন্তু ১০-১৫ বছর থেকে একেবারে ব্যবহার বন্ধ করা হয়েছে। তা সত্ত্বেও পাঁচুগোপাল মাঝে মাঝে কুয়োতে নামতেন। কুয়োর জলে স্নান করে সে উঠেও আসতেন। আমরা নিষেধ করলেও শুনতেন না। এ দিন দুপুর ১টা নাগাদ পাঁচুগোপাল কুয়োতে নামেন। কিন্তু তারপর না ওঠায় পুলিশকে খবর দেওয়া হয়।
এ দিকে ঘটনার খবর পেয়ে দমকলের কর্মীরা উদ্ধার কার্যে নামেন। প্রথমে হ্যারিকেন নামিয়ে গ্যাস রয়েছে কিনা পরীক্ষা করে দেখেন। দমকল কর্মীদের দাবি, প্রায় ৩০-৩৫ গভীর ওই কুয়োতে বিষাক্ত গ্যাস ছিল। প্রথমে বাঁশ নামানোর পাশাপাশি দড়ি বেঁধে বালতি নামিয়ে পাঁচুগোপালের খোঁজ করা হয়। তা ছাড়াও দড়িতে বেঁধে কাঁটা নামিয়ে খোঁজ চালানোর সময় ওই কুয়ো থেকে একটি গামছা উঠে আসতেই নিশ্চিত হন কুয়োতে পাঁচুগোপালের দেহ রয়েছে। এর পরেই সিভিল ডিফেন্সকে খবর দেওয়া হয়। দমকল এবং সিভিল ডিফেন্সের সদস্যরা যৌথভাবে উদ্ধার কাজে হাত লাগান। বিকাল সাড়ে পাঁচটা নাগাদ মৃতদেহ উদ্ধার করা হয়।