Migrant Workers

Death: পরিযায়ী শ্রমিকের মৃত্যু ঘিরে রহস্য

জামিরুলের পরিবারের দাবি তাঁকে খুন করা হয়েছে। আসল ঘটনা ধামাচাপা দিতে দেওয়াল চাপা পড়ার নাম দেওয়া হচ্ছে।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

শমসেরগঞ্জ শেষ আপডেট: ১৯ সেপ্টেম্বর ২০২১ ০৫:৩৫
Share:

প্রতীকী ছবি।

ওড়িশায় কাজ করতে গিয়ে দেওয়াল চাপা পড়ে মৃত্যু হল এক পরিযায়ী শ্রমিকের। তবে তাঁর স্ত্রীর দাবি, তাঁকে খুন করা হয়েছে। মৃত ওই পরিযায়ী শ্রমিকের নাম জামিরুল ইসলাম (৩০)।
শনিবার সকালে জামিরুলের বাড়িতে মৃতদেহ এসে পৌঁছয়।

Advertisement

স্থানীয় সূত্রে খবর, জামিরুল লালগোলা থানার নশিপুরের চমকপুরের বাসিন্দা। ইদউল আযাহারের আগে বাড়ি আসে জামিরুল। তারপর গত মাসের প্রথম দিকেই ওড়িশার কটকে রাজমিস্ত্রির কাজে যায় সে। জামিরুলের একটি চার মাসের ছেলেও রয়েছে। তাঁর স্ত্রী নিলুফা বিবি জানান, গত বৃহস্পতিবার রাতে ন'টা নাগাদ শেষ কথা হয় জামিরুলের সঙ্গে। ওই সময় জামিরুল জানায় তার ফোনের রিচার্জ শেষ হয়ে গিয়েছে। রিচার্জ করে ফের ফোন করবে সে। কিন্তু সারা রাত জামিরুলের আর ফোন আসেনি শুক্রবার সকাল বেলায় কটক থেকে জামিরুলের স্ত্রীকে ফোন করে জানানো হয় নির্মিয়মাণ একটি দেওয়াল চাপা পড়ে মৃত্যু হয়েছে জামিরুলের।

যদিও জামিরুলের পরিবারের দাবি তাঁকে খুন করা হয়েছে। আসল ঘটনা ধামাচাপা দিতে দেওয়াল চাপা পড়ার নাম দেওয়া হচ্ছে। এদিন নিলুফা বলেন, ‘‘বৃহস্পতিবার রাত পর্যন্ত কথা হয়েছে। তারপর শুক্রবার সকালে আমাকে ফোন করে জানানো হয় দেওয়াল চাপা পড়ে মৃত্যু হয়েছে। কিন্তু দেওয়াল চাপা পড়ে মৃত্যু হলে তো দেহের একাধিক জায়গায় দাগ থাকবে। গোটা দেহে কোনও দাগ নেই শুধু মাথায় আঘাতের চিহ্ন রয়েছে। ওকে খুন করা হয়েছে।’’

Advertisement

প্রসঙ্গত, ওড়িশায় কাজ করতে গিয়ে লালগোলার নশিপুরের পরিযায়ী শ্রমিকদের বিভিন্ন ভাবে হেনস্থা করার অভিযোগ উঠেছিল বছর দুয়েক আগেই। লালগোলার নশিপুরের অধিকাংশ পরিযায়ী শ্রমিক ওড়িশায় কাজ করেন। গত বছর দুয়েক আগে ওড়িশার বিভিন্ন এলাকা থেকে কাজ ছেড়ে নশিপুরে ফিরে এসেছিল প্রায় শ'তিনেক পরিযায়ী শ্রমিক। তাদের অভিযোগ ওড়িশার পুলিশ তাঁদের বিভিন্নভাবে হেনস্থা করছিল। ওই সময় জঙ্গিপুরের সাংসদ খলিলুর রহমানের হস্তক্ষেপে পরিস্থিতি স্বাভাবিক হয় তারপর ফের ওড়িশায় কাজে যায়। নশিপুরের পরিযায়ী শ্রমিকরা। এ দিন খলিলুর রহমান বলেন, ‘‘এই ঘটনাটও আমি শুনেছি। নিজেই চেষ্টা করছি বাড়িতে যাওয়ার না হলেও আমার লোকজন পাঠিয়ে খোঁজ নিচ্ছি।’’

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন