চালু হোক অন্তর্বিভাগ, দাবি উঠছে মণিগ্রামে

এক সময় চালু ছিল দশ শয্যার অন্তর্বিভাগ। রাত-বিরেতে ব্যামো হলে ভর্তি হতেন স্বাস্থ্যকেন্দ্রে। কিন্তু সে পাট চুকেছে প্রায় বিশ বছর হতে চলল।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

 সাগরদিঘি শেষ আপডেট: ০৩ ফেব্রুয়ারি ২০১৭ ০৩:১৬
Share:

ফাটল ধরেছে নতুন ভবনে। —নিজস্ব চিত্র

এক সময় চালু ছিল দশ শয্যার অন্তর্বিভাগ। রাত-বিরেতে ব্যামো হলে ভর্তি হতেন স্বাস্থ্যকেন্দ্রে। কিন্তু সে পাট চুকেছে প্রায় বিশ বছর হতে চলল।

Advertisement

বাম আমলে একবার চেষ্টা করা হয় অন্তর্বিভাগটি চালু করার। সেই মতো কোটি টাকা খরচ করে নতুন ভবনও তৈরি করা হয়। কিন্তু তালা আর খোলেনি।

অথচ মণিগ্রাম প্রাথমিক স্বাস্থ্যকেন্দ্রে রয়েছেন চিকিৎসক, নার্স, ফার্মাসিস্ট, সাফাই ও চতুর্থ শ্রেণির কর্মী। সকালে ঘণ্টা দুয়েকের জন্য বহির্বিভাগ খোলে। তাতেই শেষ হয়ে যায় ‘ডিউটি’।

Advertisement

তাই প্রসবযন্ত্রণা উঠলে প্রসূতিকে নিয়ে ছুটতে হয় কুড়ি কিলোমিটার দূরের জঙ্গিপুর হাসপাতাল বা দশ কিলোমিটার দূরের সাগরদিঘি সুপার স্পেশালিটি হাসপাতালে।

গ্রামবাসীদের দাবি, ওই স্বাস্থ্যকেন্দ্রে যদি অন্তর্বিভাগ চালু হয় তা হলে সমস্যা অনেকটাই কমে। নিদেন পক্ষে স্বাস্থ্যকেন্দ্র চত্বরে একটি সর্বক্ষণের জন্য একটি ‘নিশ্চয় যান’ থাকুক। তা হলে আর গাড়ি ভাড়া করে প্রসূতিদের নিয়ে যেতে হয় না।

ওই স্বাস্থ্যকেন্দ্রের পাশেই বাড়ি উত্তম ঘোষ। তিনি জানান, এক সময় ১০ শয্যার স্বাস্থ্যকেন্দ্র ছিল মণিগ্রামে। কাবিলপুর, বালিয়া, মণিগ্রামের প্রায় ৪০টি গ্রামের মানুষের ভরসার জায়গা ছিল এটি। বছর কুড়ি আগে তালা পড়ে অন্তর্বিভাগে।

১০ শয্যার স্বাস্থ্যকেন্দ্র চালু করার জন্য ২০১০ সালের অক্টোবরে ফের শিলান্যাস করা হয়। কোটি টাকা খরচ করে ভবন তৈরি করা হয়। কিন্তু সেই দেওয়াল জুড়ে এখন ফাটল। ছাদ চুঁইয়ে জল পড়ছে।

স্ত্রীকে নিয়ে ওই স্বাস্থ্যকেন্দ্রে এসেছিলেন শেখপাড়ার মহম্মদ সাবির। তিনি এসে হতবাক। তাঁর কথায়, ‘‘চিকিৎসক ছিলেন না। ফার্মাসিস্ট দেখে যা ওষুধ দিলেন তাই নিতে হল।”

মণিগ্রামের রফিক শেখ বলছেন, “প্রসূতিদের দুর্ভোগের শেষ নেই। একটা সরকারি অ্যাম্বুলেন্স পর্যন্ত মেলে না। ফলে গাড়ি ভাড়া করে জঙ্গিপুর মহকুমা হাসপাতালে তাদের নিয়ে যেতে হয়।”

মণিগ্রাম পঞ্চায়েতের উপ-প্রধান নেজামুল হক বলছেন, “পঞ্চায়েত থেকে বহুবার লেখা হয়েছে প্রসূতিদের ২৪ ঘণ্টার পরিষেবা দিতে একটি স্থায়ী ইউনিট খোলার জন্য। কিন্তু তা হয়নি আজও। এমনকী একটা অ্যাম্বুল্যান্স পর্যন্ত নেই।”

জঙ্গিপুরের সহকারি মুখ্য স্বাস্থ্য অধিকর্তা শাশ্বত মণ্ডল বলছেন, “জননী সুরক্ষা যোজনায় প্রচুর অ্যাম্বুল্যান্স দেওয়া হয়েছে সাগরদিঘিতে। তা হলে কেন গাড়ি ভাড়া করে প্রসূতিদের নিয়ে যেতে হবে? বিষয়টি খোঁজ নিয়ে দেখছি।’’

সিনিয়র লিগ। মুর্শিদাবাদ সিনিয়র ডিভিশন সুপার লিগ ক্রিকেট প্রতিযোগিতায় বৃহস্পতিবার হিন্দ ক্লাব জয়ী হয়। আবহাওয়ার খারাপ থাকায় খেলা দেরি করে শুরু হওয়ায় ৪৫ ওভারের ম্যাচ কমিয়ে ৩০ ওভারে নিয়ে আসা হয়। ওয়াইএমএ ময়দানে প্রথমে ব্যাট করে লালগোলা নেতাজি কুঞ্জ ৩০ ওভারে ১২৭ রান তোলে। ব্যাট করতে নেমে হিন্দ ক্লাব প্রয়োজনীয় রান তুলে নেয়।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন